কেনাকাটার পর বিল মেটানোর সময় মোবাইল নম্বর দিচ্ছেন? কড়া নিয়ম আনল সরকার

কেনাকাটার পর বিল মেটানোর সময় মোবাইল নম্বর দিচ্ছেন? কড়া নিয়ম আনল সরকার

3 stocks recomended

 কলকাতা: শপিং মল, ফুডকোর্ট কিংবা কোনও স্টোরে কেনাকাটা করার পর ক্যাশ কাউন্টারে বিল মেটানোর সময় ক্রেতার মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়৷ এই ছবিটা আমাদের সকলেরই চেনা। আপনারও নিশ্চয় এমন অভিজ্ঞতা বহুবার হয়েছে৷ তবে জানেন কি, কেন্দ্রের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে যে, খুচরো বিক্রেতাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বা মোবাইল নম্বর নেওয়া যাবে না৷ গ্রাহকদের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক।

গ্রাহকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, মোবাইল নম্বর শেয়ার না করলে বহু বিক্রেতা বা সংস্থা পরিষেবা দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তাদের যুক্তি, ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর না দিলে বিল করা যাবে না। এই অপস্থায় উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে বলা হল, ” উপভোক্তা সুরক্ষা আইন অনুযায়া মোবাইল নম্বর চাওয়াটা একটি অন্যায্য ব্য়াবসায়িক প্রক্রিয়া। গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের কোনও যুক্তি নেই।”

গ্রাহক স্বার্থেই এই সমস্যা মেটাতে সিআইআই, ফিকির মতো বণিকসভার কাছে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে৷ এক্ষেত্রে ক্রেতার সুরক্ষা একটি বড় প্রশ্ন বলে জানিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের সচিব রোহিত কুমার সিং।

অনেকেই হয়তো জানে না যে, বিল জেনারেট করার জন্য গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর জানানোটা এদেশে একেবারেই বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। কিন্তু খুচরো বিক্রেতারা তাঁদের অন্যায্য ব্যবসায়িক কার্যকলাপের জন্য ক্রেতাদের থেকে তাঁদের মোবাইল নম্বর নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করেছে। যা ক্রেতাদের অস্বস্তিকর দোটানার মধ্যে ফেলছে। কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের কোনও বিকল্প দেওয়া হয় না। 

এমতাবস্থায় সক্রিয় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র৷ নয়া কেন্দ্রীয় নির্দেশের জেরে বিক্রেতারা আর ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর দেওয়ার জন্য জোর করতে পারবে না। অর্থাৎ এবার থেকে গ্রাহকেরাই ঠিক করবেন তাঁরা মোবাইল নম্বর দেবে না দেবেন না৷ এ বিষয়ে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলি কী কী পদশ্রেপ করে সেদিকেই নজর থাকবে।

বিল তৈরির সময় ফোন নম্বর দিলে কী সমস্যা হতে পারে?

কেনাকাটার পর যখন কাউন্টারে বিল তৈরি করা হয় তখন গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের মোবাইল নম্বর জানতে চাওয়া হয়। গ্রাহক তাঁর মোবাইল নম্বর জানিয়ে দিলে সেটি দোকানদারের ডাটাবেসে ফিড হয়ে যায়। এর ফলে ওই শপিং মল বা ফুড কোর্টের নানা অফার গ্রাহকদের মোবাইলে আসতে থাকে৷ কখনও কল করা হয়৷ কখনও আবার মেসেজের মাধ্যমে অফার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করানো হয়৷ এতে অনেক সময়ই গ্রাহকেরা বিরক্ত বোধ করেন। সেই কারণেই অনেকে ফোন নম্বর দিতে চান না। তখন কাউন্টার থেকে জানানো হয় মোবাইল নম্বর না দিলে বিল জেনারেট করা সম্ভব নয়৷ গ্রাহকদের এই সমস্যা মেটাতেই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্র৷