সরকার গড়তে তুঙ্গে তৎপরতা, সমীকরণ বদলের পথে মমতা-রাহুল?

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে আর মাত্র দুটি দফা বাকি৷ সকলেরই নজর এখন ২৩ তারিখের দিকে। কে কত আসন পায় তার উপর নির্ভর করছে সব। বিভিন্ন সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। এখন থেকেই তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ কোনও পক্ষ যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে কী হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস ও

সরকার গড়তে তুঙ্গে তৎপরতা, সমীকরণ বদলের পথে মমতা-রাহুল?

নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে আর মাত্র দুটি দফা বাকি৷ সকলেরই নজর এখন ২৩ তারিখের দিকে। কে কত আসন পায় তার উপর নির্ভর করছে সব। বিভিন্ন সম্ভবনা খতিয়ে দেখছে রাজনৈতিক মহল। এখন থেকেই তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ কোনও পক্ষ যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তাহলে কী হবে তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস ও বিজেপিকে বাদ দিয়ে তৃতীয় শক্তির সরকার গঠনের জন্য নতুন করে চেষ্টা শুরু করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও৷ তেলেঙ্গানায় ইতিমধ্যেই ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে। তাই বিভিন্ন রাজ্যে গিয়ে কংগ্রেস ও  বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে রণনীতি ঠিক করার কাজ শুরু করেছেন কেসিআর। ইতিমধ্যেই কেরালার মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ বাম নেতা পিনরাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। এই ঘটনার কী প্রভাব পড়ল বাংলায়? রাজনৈতিক মহলের অনেকেই একটা সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন। তাদের মনে হচ্ছে এই কেসিআর প্রভাবে রাহুল ও মমতার মধ্যে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

পুরুলিয়া মঙ্গলবার রাহুল এবং মমতা দুজনেরই দুটি আলাদা জায়গায় সভা ছিল। কিন্তু এ দফায় রাজ্যে এসে মমতা প্রসঙ্গে কিছুটা হলেও নরম দেখাল কংগ্রেস সভাপতিকে। পুরুলিয়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তেমন একটা আক্রমণ করতে দেখা যায়নি রাহুল গান্ধীকে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই ছিলেন তাঁর আক্রমণের মূল লক্ষ্য। গোটা বক্তব্যে বার কুড়ি মোদীর নাম উচ্চারণ করলেও রাহুল মমতার নাম করলেন মেরে কেটে বার দুয়েক। পরে একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারেও তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগতভাবে শ্রদ্ধা করি।’ একইভাবে কংগ্রেস সম্পর্কেও তির্যক মন্তব্য করলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।

লোকসভা নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরুর আগে অ-কংগ্রেসি এবং ও বিজেপি দলগুলির একটি জোট তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছিলেন আগামী দিনে কেন্দ্রে সরকার গঠনে ভূমিকা নেবে আঞ্চলিক দলগুলি। সেভাবে দেখতে গেলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ছটি দল রয়েছে যারা এখনও কোনও জাতীয় দলের সঙ্গে জোট করেনি। সেই তালিকায় আছে কেসিআরের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি, নবীন পট্টনায়কের বিজেডি, জগমোহন রেড্ডির ওয়াই এস আর কংগ্রেস, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। বিভিন্ন সমীক্ষা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই দলগুলি একত্রে ১০০ টিরও বেশি আসন পেতে পারে। আর শেষমেশ যদি সেটা হয় তাহলে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এই দলগুলিকে যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + three =