চাকরি থেকে মুক্ত পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

পুণে: চাকরি নিয়ে কমবেশি এই প্রজন্মের অনেকেই অখুশি। মনের মতো ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়া মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছে গোটা একটা প্রজন্মকে। এই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কারও ভরসা আপোষ, কারও কাছে উপায় স্বেচ্ছামৃত্যু৷ হ্যাঁ, অস্থির কর্মজীবন থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জিই জানিয়েছেন এক যুবক। যুতসই চাকরির অভাব ও বিয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর

c64c84a00a0e5495987448316eef7c23

চাকরি থেকে মুক্ত পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি

পুণে: চাকরি নিয়ে কমবেশি এই প্রজন্মের অনেকেই অখুশি। মনের মতো ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়া মানসিকভাবে অসুস্থ করে তুলছে গোটা একটা প্রজন্মকে। এই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে কারও ভরসা আপোষ, কারও কাছে উপায় স্বেচ্ছামৃত্যু৷ হ্যাঁ, অস্থির কর্মজীবন থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে স্বেচ্ছামৃত্যুর আর্জিই জানিয়েছেন এক যুবক।

যুতসই চাকরির অভাব ও বিয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হতে দেখে এই জীবন শেষ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের বছর ৩৫-এর যুবক। ইচ্ছামৃত্যু চেয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনভিসের দপ্তরে চিঠিও পাঠিয়েছেন ওই যুবক। দত্তওয়াদি থানার ওসি দেবদাস ঘেওয়ারে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানান, চিঠিটি ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই লেখা। তিনি বলেন, “চিঠিটিতে বলা হয়েছে, ওই যুবকের মনে হচ্ছে তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছুই করে উঠতে পারছেন না।” ওই পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, যুবক তাঁর অসুস্থ মা, বাবার কথা লিখেছিলেন ওই চিঠিতে। পুলিশ জানিয়েছে, “যুবকের মনে হচ্ছে, তিনি তাঁর বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে পারছেন না। তাঁর বিয়ে সংক্রান্তও সমস্যা হচ্ছিল। আমরা তাঁর কাউন্সেলিং করাই।’’

পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, স্বেচ্ছামৃত্যুর কামনা করা এই যুবক বেশ শিক্ষিত ও তাঁর পরিবারও বেশ ভালো। বিয়ের কারণেই কিন্তু হতাশ ছিলেন না ওই ব্যক্তি। নিজের চাকুরি জীবনে একেবারেই ভালো ছিলেন না তিনি, যোগ্যতা ও মনের মতো চাকরির অভাব এবং বাবা-মা’র প্রতি অসীম ভালোবাসা থেকেই শেষমেশ জীবন থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিতে চেয়েছিলেন তিনি, জানিয়েছেন অফিসার দেবীদাস ঘেওয়ারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *