মহত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জাতির জনক, কী বললেন এই বিজেপি নেতা?

আজ বিকেল: বিদ্য়াসাগরের লেখা সহজ পাঠ(কবিগুরুর রচনা সহজপাঠ) শৈশবেই পড়ে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের মাটিতে জন্মেছেন(ভুল তথ্য), একথাই বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এরপর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে পাকিস্তানের জাতির জনক বলললেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা অনিল সৌমিত্র। রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে নিজের মন্তব্যের প্রচারও সেরেছেন তিনি। বিজেপির ইজ্জত কা ফালুদা করে দেওয়া এই

fd138792098794127413f05e39f6604b

মহত্মা গান্ধী পাকিস্তানের জাতির জনক, কী বললেন এই বিজেপি নেতা?

আজ বিকেল: বিদ্য়াসাগরের লেখা সহজ পাঠ(কবিগুরুর রচনা সহজপাঠ) শৈশবেই পড়ে ফেলেছেন দিলীপ ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূমের মাটিতে জন্মেছেন(ভুল তথ্য), একথাই বলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এরপর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে পাকিস্তানের জাতির জনক বলললেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা অনিল সৌমিত্র। রীতিমতো ফেসবুক পোস্ট করে নিজের মন্তব্যের প্রচারও সেরেছেন তিনি। বিজেপির ইজ্জত কা ফালুদা করে দেওয়া এই নেতার পোস্টটা ঠিক এমন ছিল, উনি জাতির জনক তবে পাকিস্তানের। এদিকে নেতাদের এহেন ভুল মন্তব্যের জেরে অশিক্ষিত তকমাটি প্রায় ছেপে গিয়েছে বিজেপির গায়ে। কিন্তু আরও পাঁচ বছর ক্ষমতার কেন্দ্রে বসতে যাওয়া একটি দল যদি অশিক্ষিত হয় তাহলে জনমনে কী প্রভাব পড়বে। কেউ তো তাদের মানবে না। তাই সাত তাড়াতাড়ি অমিল সৌমিত্রকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদের অধিকার থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জবাবদিহি করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বিজেপি নেতা তো ভাঙলেও মচকাবেন না। কথায় কথায় ধর্মীয় রীতি, পুরণা টেনে আনা বিজেপির মুদ্রা দোষ। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সৌমিত্রের দাবি, প্রাচীন ভারতে মুনি ঋষিদের অবস্থান আমাদের সকলের জানা। তখনই ভারত অনেক সমৃদ্ধ ছিল।ভারতের সন্তানসম হলেন এই মুনি ঋষিগণ। তাই এদেশে শুধু সন্তারাই থাকবে, বাবা নয়। জাতির জনক ধারণা তো ব্রিটিশদের। গান্ধী চালে ভারত মাতার সন্তান হতে পারতেন, কিন্তু জাতির জনক নন। প্রাচীন ভারত সম্পর্কিত তথ্য যা বলছে তাতে এদেশে জাতির জনকের কোনও অস্তিত্ব  সেসময় ছিলনা। তাই এখনও কেন থাকবে?

অন্যদিকে জবাবদিহির নোটিস পেয়েও দমে যাননি এই বিজেপি নেতা। বলেছেন, পাকিস্তানকে আলাদা রাষ্ট্র তৈরিতে প্রথম উদ্যোগী হয়েছিল ব্রিটিশরা। আর এই উদ্যোগে ইন্ধন জুগিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু, মহম্মদ আলি জিন্না।তাঁরা দুজনেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ পেতে লালয়িত ছিলেন। আর গোটা প্রক্রিয়ার উপরেই ছিল গান্ধীর আশীর্বাদী হাত। তাঁর আশীর্বাদেই ভারত ভেঙে পাকিস্তান হয়েছে। তাই তিনি পাকিস্তানের আপনজন হতে পারেন, ভারতের নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *