কাল ফলাফল, খাদের মুখে রাজ্য সরকার

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ তার পরই হাতে হাতে মিলবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল৷ স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের সরকার গড়বে কে? চলছে জোর জল্পনা৷ ফলাফলের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই আশা, আশাঙ্কায় দিন গুনতে শুরু করেছে দেশের পাঁচটি রাজ্য৷ কেননা, একটু এদিক-ওদিক হলেই রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেল পারে লোকসভা ফল৷ ২৩ মের ফলাফলে সরকার উল্টে যেতে

কাল ফলাফল, খাদের মুখে রাজ্য সরকার

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ তার পরই হাতে হাতে মিলবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল৷ স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের সরকার গড়বে কে? চলছে জোর জল্পনা৷ ফলাফলের সময় যতই এগিয়ে আসছে, ততই আশা, আশাঙ্কায় দিন গুনতে শুরু করেছে দেশের পাঁচটি রাজ্য৷ কেননা, একটু এদিক-ওদিক হলেই রাজ্য সরকারের ঘাড়ে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেল পারে লোকসভা ফল৷ ২৩ মের ফলাফলে সরকার উল্টে যেতে পারে, এই রকম আশঙ্কাও রয়েছে প্রবল৷ একদিকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অন্যদিকে দল ভাঙানোর আশঙ্কায় খাদের কিনারে মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গোয়া, মণিপুর ও কর্ণাটক৷

মধ্যপ্রদেশ: বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সামনে আসতেই রাজ্য বিজেপি দাবি তুলেছে, কমল নাথের নেতৃত্বাদীন কংগ্রেস সরকারের হাতে আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ এমনকী রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেলের কাছে বিশেষ অধিবেসন ডাকার আবেদনও করা হয়৷ কমল নাথ অবশ্য ফ্লোর টেস্টের জন্য তৈরি৷ ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১১৪ জনের সমর্থন৷ ৪ জন নির্দল, ২ জন বসপা ও ১জন সপার বিধায়ক৷ বিজেপির হাতে রয়েছে ১০৯ জন বিধায়ক৷ বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় ফিরলে মায়াবতী কী করেন তার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে৷

তামিলনাড়ু: তামিলনাড়ির ২২টি বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে৷ শাসক দল এআইএডিএমকের ১৮ জন বিধায়ক দলত্যাগ করায় এই উপনির্বাচন হচ্ছে৷ ২৩৪ সদস্যের বিধানসভায় এআইএডিএমকের হাতে রয়েছে ১১৩ জন বিধায়ক৷ আর বিরোধী ডিএমকের হাতে ৯৭ জন৷ সরকারে টিকিয়ে রাখতে এআইএডিএমকের ২২টি আসনের মধ্যে ৪টি হলেই চলবে৷ আর সরকার উল্টিয়ে দিতে ডিএমকের চাই ২১টি৷

মণিপুর: নাগা পিপলস ফ্রন্টের হাতে ৪ জন বিধায়ক রয়েছে। তারা বলেই রেখেছে, নির্বাচবনের ফল বের হওয়ার পর বিদেপির নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে তারা সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে। তবে ৬০ স,দস্যের বিধানসভায় ৪০ জনের সমর্থন থেকে ৪ জন কমে গেলে সরকারে কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে বিজেপি। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে কিন্তু সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছিল কংগ্রেসই। পরে তাদের ২৮ জন জয়ী বিধায়কের ৮ জন বিজেপি-তে যোগ দেন। বিজেপি আত্মবিশ্বাসী হলেও অনেক কিছুই ঘটতে পারে এই পাহাড়ি রাজ্যে।

গোয়া: দেশের ছোট্ট রাজ্য৷ চারটি আসনের উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হবে বৃহস্পতিবার৷ বিজেপি যদি ভালো না করে তবে কিন্তু সরকার বদলের তুমুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ মোট ৩৬ আসনের বিধানসভায়৷ বিজেপি-কংগ্রেস দুই দলের হাতেই ১৪ জন করে বিধায়ক আছেন। ৩ নির্দল ও ৩ গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়েছিলেন মনোহর পার্রিকর। অপর পক্ষে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন এনসিপি ও এমজিপি-র একজন করে বিধায়ক। ফলে ৪টি আসনের ফলের উপর অনেক কিছু নির্ভরশীল।

কর্নাটক: সরকার পড়ার কোনও প্রত্যক্ষ হুমকি নেই। তবে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রয়েছে। আপাতত এই রাজ্যে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের সামলে রাখা গেলেও ২৩ তারিখ কংগ্রেস যদি খারাপ ফল করে, সেক্ষেত্রে তাদের আর আটকে রাখা যাবে না। সোমবারই মুখ্য়মন্ত্রি হিসেবে একবছর পূর্ণ করেছেন কুমারস্বামী। কিন্তু, কংগ্রেসের একাংশ যদি দল ত্যাগ করে বা জোট থেকে সমর্থন প্রত্যা করার দাবি জানায়, সেই ক্ষেত্রে আর বেশিদিন শাসকের চেয়ারে বসা হবে না তাঁর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 + two =