নয়াদিল্লি: কোটি কোটি দেশবাসী আমার মতো ফকিরের ঝোলা পূর্ণ করে দিয়েছেন। আমি ১৩০ কোটি জনতাকে প্রণাম জানাই। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে আজকের জয়ই সবথেকে বড় সাফল্য। মহাভারতের যুদ্ধের পর শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন, আমি কারও পক্ষে নয়, হস্তিনাপুরের উন্নতির পক্ষে ছিলাম। আজ ২০১৯ সালেও ভারতের ১৩০ কোটি মানুষ শ্রীকৃষ্ণের রূপেই ভারতের উন্নয়নের পক্ষে ছিলেন। তাই আজ বিজয়ী হয়েছে ভারত। বিজয়ী হয়েছে জনতা জনার্দন। বিপুল জয়ের পর এভাবেই প্রতিক্রিয়া দিলেন নরেন্দ্র মোদি। শপথ নিলেন মোদি। বললেন, আমি আজ প্রতিজ্ঞা করছি আমি নিজের জন্য কিছুই করব না। আমার প্রতিটি মুহূর্তই হবে দেশবাসীর জন্য।
সারাদিন ধরে অপেক্ষা করেছিলেন হাজার হাজার বিজেপি কর্মী, সমর্থক, নেতা। সন্ধ্যা পেরিয়ে এলেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির পার্টি অফিসে। প্রাঙ্গণেই স্থায়ী মঞ্চ আছে। সেটি ছিল সুসজ্জিত। নরেন্দ্র মোদির কনভয় যখন অবশেষে এসে দাঁড়িয়েছে তখন গর্জন করতে শুরু করল জনতা। মঞ্চে হাজির ছিলেন সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিং, নীতীন গাদকারি, শিবরাজ সিং চৌহান, অমিত শাহ। নেতা অনেক। কিন্তু স্লোগান একটাই। মোদি….মোদি…মোদি..। প্রবল উচ্ছ্বাস আর গর্জনের মধ্যে মোদি পোডিয়ামের সামনে উপস্থিত হলেও কিছুই বলতে পারছেন না। কারণ প্রবল চিৎকার, জয়ধ্বনি, স্লোগান থামছেই না। অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন বাংলা দখলের সূত্রপাত হয়েই গেল। আর বেশি দেরি নেই যেদিন বাংলায় সরকার গঠন করব আমরা।