নয়াদিল্লি: বাড়ি বদলে যায়। ঠিক তাই, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও বাড়ি বদল করলেন৷ ১৮১ সাউথ এভিনিউ আজ অতীত৷ নতুন ঠিকানা রাজধানী দিল্লির অত্যন্ত পশ এলাকা হিসেবে খ্যাত এম-৭, গ্রিন পার্ক এক্সটেনশন৷ এই ঠিকানা থেকেই রাজধানী দিল্লিতে তাঁর নতুন ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মুকুল রায়৷
আজ শনিবার এই নতুন বাড়িতেই তিনি সাদরে অভ্যর্থনা জানান বাংলার নব নির্বাচিত বিজেপি সাংসদদের৷ রাজ্যের সব প্রান্ত থেকে একে একে জড়ো হন বিজেপির ১৮ জন সাংসদ৷ যাদের নিজের নতুন বাড়িতে অভ্যর্থনা জানান মুকুল ও তাঁর সহযোগীরা৷ রাজনৈতিক মার্গ দর্শক হিসেবে নতুন সাংসদদের সামনে কয়েকটি জরুরি পরামর্শ প্রদান করেন বাংলার চাণক্য৷ তারপর দুপুরে চলে মধ্যাহ্নভোজ৷ একেবারে নিপাট ঘরোয়া আমিষ বাঙালি খাওয়া দাওয়া৷
একটু বিশ্রাম নিয়ে নব নির্বাচিত বিজেপি সাংসদরা রওয়ানা দেন প্রথম সংসদীয় দলের বৈঠকের উদ্দেশে, যেখানে প্রথামাফিক দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷ এই বিরাট কর্মকান্ড সরজমিনে পরিচালনা করার জন্য শুক্রবার বেশি রাতে নয়াদিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন মুকুল রায় ও তাঁর সহযোগীরা৷
সূত্রের খবর, নতুন সাংসদদের দিল্লি পৌঁছনো থেকে শুরু করে তাদের পোশাক-আসাক, শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে আচার ব্যবহার ও সংসদীয় রীতি নীতি সব কিছু নিয়েই কড়া নজর রাখছেন একদা তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড, অধুনা রাজ্য বিজেপির চাণক্য৷
বাড়ি বদল হলেও তাঁর রাজনৈতিক কৌশল যে ম্রিয়মান হয়নি, বরং আরও ক্ষুরধার হয়েছে, তার প্রমাণ তিনি ইতিমধ্যেই রেখেছেন৷ এবার দেখার বিষয় অনেক পাতা ঝরার সাক্ষী ও কয়েক দশকের সঙ্গী সাউথ এভিনিউয়ের মায়া কাটিয়ে মুকুল কতদিন দূরে থাকতে পারেন৷