নয়াদিল্লি: কাকে কাকে মন্ত্রী করবেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ? নতুন সরকার গঠনের প্রস্তুতি শুরুর সঙ্গেই জোরালো হয়েছে এই আলোচনা। অনুমান, নতুন মন্ত্রিসভায় বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে রাখতে পারেন মোদি। এদিন দিল্লিতে এক প্রশ্নে শাহ বলেছেন তিনি মন্ত্রী হবেন কিনা নির্ভর করছে দল এবং মোদির ওপর। মন্ত্রিসভায় পশ্চিমবঙ্গ কতটা গুরুত্ব পায় তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে বিভিন্ন স্তরে।
সূচি অনুযায়ী ৩ জুনের আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে হবে নরেন্দ্র মোদীকে। জানা গিয়েছে, ৩০ মে শপথ নিতে পারেন মোদী। তার আগে তাঁকে দল এবং জোটের নেতা নির্বাচিত হতে হবে। সরকার গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবিও জানাতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গের একাধিক সাংসদকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে৷ বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জন বার্লা এই তালিকায় থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ ২০১৪’তে এরাজ্য থেকে নির্বাচিত দুই সাংসদ সুরেন্দ্র সিং আলুওয়ালিয়া এবং বাবুল সুপ্রিয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এবার রাজ্য থেকে সাংসদ ১৮ জন। ওডিশা এবং তেলেঙ্গানাকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে। দুই শরিক শিবসেনা এবং জনতা দল (ইউ)’র থেকে মোদি একাধিক মন্ত্রী রাখবেন বলে অনুমান।
গত পাঁচ বছর অর্থ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন জেটলি। অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা চলছে জেটলির। শোনা গিয়েছিল চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে বিদেশে যেতে হতে পারে। সেই কারণে তিনি মন্ত্রিত্ব নিতে আগ্রহী নন। এমন কানাঘুষোর মধ্যেই শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বাসভবনে বৈঠক করেছেন তিনি। নতুন সরকার গঠনের পর অর্থবর্ষের বাকি সময়ের জন্য পেশ করতে হবে বাজেট। তার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব সুভাষ গর্গ, রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পান্ডের মতো আধিকারিকদের সঙ্গে। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমে এক আধিকারিকের মন্তব্য, জেটলিকে যথেষ্ট সুস্থ মনে হয়েছে। ফের অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে অসম্ভব নয়। সুষমা স্বরাজ শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রার্থী হননি। বিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব হয়তো তিনি এবার নেবেন না। সুবক্তাও তিনি। জেটলি এবং স্বরাজ দু’জনকেই আলাদা করে মন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। দু’জনেই নীরব থেকেছেন।
বিজেপি সূত্র জানাচ্ছে, রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করি, রবিশঙ্কর প্রসাদ, পীযূষ গোয়েল, নরেন্দ্র সিং তোমার, প্রকাশ জাভরেকর এবং স্মৃতি ইরানি ফের দায়িত্ব নেবেন। রাজনাথ সিং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থেকেছেন না৷ তাঁকে অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে। স্মৃতি ইরানি এবার আমেথিতে হারিয়েছেন রাহুল গান্ধীকে। তাঁকেও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি এবং শাহের। নতুন মুখ তুলে আনার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে অনুমান। রাফালে বিতর্কের সময় সংসদে এবং বাইরে সরকারের হয়ে সওয়াল করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অনুমান, তাঁকে এই মন্ত্রকেই রাখা হবে।