পাকিস্তানে যা, মুসলিম যুবককে এই বলেই গুলি চলল বিহারে

আজ বিকেল: এখানে কি করছিস, পাকিস্তানে যা। এই বলেই মুসলিম যুবককে গুলিতে বিদ্ধ করল মত্ত দুষ্কৃতী। অভিযুক্তের নাম রাজীব যাদব। তার বিরুদ্ধে থানায় এফ আইআর দায়ের হলে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ের চেরিয়া বরিয়ারপুর থানার কুম্ভি গ্রামে। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ কাশিম, তিনি পেশায় ফেরিওয়ালা। সোমবার দুপুরে

c4a0dbbd2a12d9554e991582a932fca6

পাকিস্তানে যা, মুসলিম যুবককে এই বলেই গুলি চলল বিহারে

আজ বিকেল: এখানে কি করছিস, পাকিস্তানে যা। এই বলেই মুসলিম যুবককে গুলিতে বিদ্ধ করল মত্ত দুষ্কৃতী। অভিযুক্তের নাম রাজীব যাদব। তার বিরুদ্ধে থানায় এফ আইআর দায়ের হলে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বেগুসরাইয়ের চেরিয়া বরিয়ারপুর থানার কুম্ভি গ্রামে।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ কাশিম, তিনি পেশায় ফেরিওয়ালা। সোমবার দুপুরে যখন জিনিসপত্র ফেরি করে ফিরছিলেন সেই সময়ই ঘটনাটি ঘটে। ক্লান্ত অবসন্ন কাশিম রাস্তার পাশেই জিরিয়ে নিচ্ছিলেন। এই সময় অকুস্থলে আসে রাজীব যাদব নামের ওই ব্যক্তি। প্রথমেই তার সঙ্গে খানিক বচসা করে। গায়ে পড়ে ঝগড়া করতে আসা যুবক মত্ত বুঝতে পেরেই সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন কাশিম। আচমকাই তার নাম জিজ্ঞাসা করতেই উত্তর দেন তিনি। এরপরেই নাম শুনে মত্ত যুবকের  বক্তব্য পাকিস্তানে চলে যা। এই কথায় বেশ রেগে যান কাশিম, নিজের দেশ ছেড়ে কেন পাকিস্তানে যাবেন জানতে চান। অভিযোগ, উত্তর দেওয়া দূরে যাক, উল্টে কাশিমকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করতে থাকে সে। এরপর ওয়ানাশাটার বন্দুক বের করে গুলিও চালিয়ে দেয়। কাশিমের পিঠে গুলি লাগে। সেই অবস্থাতেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান তিনি।

এদিকে ঘটনাটি চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বেগুসরাইয়ের বিজিত প্রার্থী গিরিরাজ সিংহের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কানহাইয়া কুমার। তাঁর দাবি, গিরিরাজ সুয়োগ পেলেই ভারতীয় মুসলিমদের পাকিস্তানে চলে যাওয়ার কথা বলেন। অভিযুক্ত গুলি কলার আগে গিরিরাজের কথাকেই অনুসরণ করেছে। তাই এই ঘটনায় মূল অপরাধী অবশ্যই গিরিরাজ সিংহ। পুলিশ ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমেছে। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। আক্রান্ত মহম্মদ কাশিম এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। গোটা ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *