আজ বিকেল: স্যানিটারি ন্যাপকিনে সিল করে চলছে মাদক সরবরাহ। এভাবেই মাদক পাচার করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক মহিলা পাচারকারী। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মাদকের বাজার মূল্যপ্রায় তিন কোটি টাকা। এদিন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। গোয়েন্দাদের কাছে আগেই খবর ছিল, মোটা টাকার ড্রাগ পাচার হবে আজই। শহরের বিমানবন্দরেই ড্রাগ হাতবদল হতে চলেছে। এর মধ্যে হাশিস তেল, এমনকী হার্ড হাশিস ও আরও বেশ কয়েকরকমের ড্রাগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই কিং পিনকে সঙ্গে নিয়েই পাচারের কাজ করতেন ওই মহিলা। মূলত মাদক আসত কেরালা থেকে বেঙ্গালুরু হল পাচার ডিলার ও ড্রাগ পেডলারদের বেস ক্যাম্প, এখান থেকেই কাস্টমার ঠিক হত একই সঙ্গে হাত বদল হয়ে মাদক পৌঁছাত একদলের কাছে তারপর বিভিন্ন উপায়ে নিরাপত্তা ও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মাদক ও পাচারকারী উড়ে যেত দোহাতে। মধ্যপ্রাচ্যের এই জায়গাতেই পাচার হত কোটি কোটি টাকার মাদক। এমনিতেই কাতরের রাজধানী দোহা আর্থিকভাবে বলশালী, সেখানে নাকি ডলার উড়ে বেড়ায়, সুযোগমতো শুধু তাকে ধরতে হবে এই যা। তিনজনকেই এয়ারপোর্ট থেকে হাতেনাতে ধরা হয়। মহিলা ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা দুই কিংপিন হল আবু ও মহম্মদ, ধৃত যুবকরা কেরালার বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই এই কেসের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত শনিবার সকালে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বিমানবন্দর লাগোয়া কার পার্কিং লট থেকে। ধৃতদের জেরা করে শহরের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দুই অভিযুক্ত পুলিশের নাগালে এসে পড়ে। সেখানে তল্লাশি চালাতে গিয়ে তিন কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। আপাতত গারদেই রয়েছে মাদক পাচারকারীরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গোটা চক্রটিকে হাজত বাস করাতে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করে খুব শিগির চার্জশিট পেশ করা হবে।