আজ বিকেল: চলে গেলেন প্রাক্তন আইপিএস তথা প্রবাদ প্রতিম সিবিআই কর্তা ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি রেখে গিয়েছেন দুই কন্যা ও এক পুত্রকে। জরুরি অবস্থার সময় তামিলনাড়ুর এই আইপিএস আধিকারিকই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে গ্রেপ্তার করেছিলেন। কাজের প্রতি তাঁর ডেডিকেশন ছিল দেখার মতো। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণন ১৯৫১ সালে আইপিএস ক্যাডার হন। ওই বছরই এএসপি পদে কর্মজীবন শুরু করেন। তাঁর প্রথম কর্মস্থল ছিল দক্ষিণ ভারতের মাদুরাই, পুলিশের বড় কর্তা হিসেহে সেখানেই প্রথম নিয়োগ পেয়েছিলেন।
১৯৭৭ সাল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন সরকার তখন কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, দেশে তখন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। সেই সময় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর যুগ্ম পরিচালকের পদে রয়েছেন ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণন। দেশজুড়ে তখন অশান্তি চলছে, এমতাবস্থায় এক দুর্নীতির মামলায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকেই গ্রেপ্তার করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু থেকে শুরু করে, চরণ সিং, ইন্দিরা গান্ধী, মোরারজি দেশাই সবার আমলেই প্রশাসনের গুরুদায়িত্ব সামলেছেন ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণন।
পরিবার সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন প্রাক্তন এই আইপিএস কর্তা। এক সময়ে সিবিআইয়ের যুগ্ম পরিচালক থাকলেও, চাকরি জীবনের শেষে তামিলনাড়ু পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল হয়েছিলেন তিনি। অবসরও নেন ওই পদ থেকেই। তবে নিজের পেশা ছাড়াও আরও একটি পরিচয় ছিল লক্ষ্মীনারায়ণের। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ভিআর কৃষ্ণ আইয়ার ছিলেন তাঁরই ভাই। তামিলনাড়ু থেকে ১৯৫১ সালের আইপিএস ক্যাডার হওয়ার পরে মাদুরাই পুলিশের সহ-সুপারিন্টেন্ডেন্ট পদে কেরিয়ার শুরু করেন তিনি। তামিলনাড়ু পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল হন ১৯৮৫ সালে। এবং ডিজিপি পদে আসীন থাককালীন তিনি অবসর নেন। অবসের পরেও ৩৩টি বছর বেঁচেছিলেন দেশের এই প্রাক্তন পুলিশকর্তা। তাঁর মেয়ে রমা নারায়ণন জানিয়েছেন, আপ্পা( ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণন) কর্মজীবনে শুধু একজন সফল পুলিশকর্তাই ছিলেন না, তাঁর ব্যক্তিজীবনও সাফল্যের রঙে মোড়া। শত ব্যস্ততার মধ্যে পরিবার পরিজন ও স্ত্রী সন্তানদের প্রতি নজর রেখেছেন। তাদের খারাপ ভাল সব রকম সময়েরই অংশীদার ছিলেন তিনি। আগামীকাল ভিআর লক্ষ্মীনারায়ণনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।