আজ বিকেল: যুবতীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তাঁর পরিবারের দুই মহিলাকে পিষে মারল যুবক। মৃত দুজনই দলিত মহিলা, রাস্তা ধরে যাওয়ার সময়ই হুড়মুড়িয়ে একটি চারচাকা গাড়ি এসে পড়ে তাঁদের উপরে। দুজনেই গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়লে চালক তাঁদের পিষে দিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত গাড়ি চালক উচ্চবর্ণের যুবক। সোমবার গভীর রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুসারে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে বুলন্দশহরের পুলিশ।
জানা গিয়েছে, এই খুনের তত্ত্ব অমূলক নয়। মৃত দুই মহিলার পরিবারে এক বছর বাইশের যুবতী রয়েছেন। দিন কয়েক আগে তাঁর সম্মানহানির চেষ্টা করছিল ওই যুবক। এদিকে শ্লীলতাহানি করতে না পেরে রীতিমতো ক্ষিপ্ত পশুর ভূমিকা নেয় অভিযুক্ত। তারপর থেকেই যুবতীর পরিবারের সদস্যদের খুনের হুমকি দিচ্ছিল সে। শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিলষ সোমবার রাতে যুবতীর বাড়ির দুই প্রবীণ মহিলা বাজারে যান। তাঁর রাতে যখন ফিরছিলেন সেই সময়ই সুকৌশলে দুজনকেই পিষে দিয়ে পালিয়ে যায় গাড়িটি। এরজেরে দুই পথচারীও আহত হয়েছেন। গোটা ঘটনাটাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক পথচারী, সেই ফুটেজ দেখেই পুলিশ নিশ্চিত যে পরিকল্পনা করেই দুই দলিত মহিলাকে খুন করেছে ওই ঘাতক গাড়ির চালক। তারপর সুযোগবুঝে পালিয়ে গিয়েছে। এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ওই যুবতী, তিনি হুমকি দেওয়া যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তবে এখনও পুলিশে কোনওরকম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি মৃত মহিলাদের পরিবার। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে একটি অস্বাভাবিক খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে বুলন্দশহরের সিনিয়র পুলিশ কর্তা অতুল শ্রীবাস্ত জানিয়েছেন, একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তদন্ত। তবে পুলিশের তরফে প্রথমে এটিকে দুর্ঘটনাই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু পরে অভিযোগ জমা পড়লে তা খতিয়ে দেখার পর শ্লীলতাহানির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরই স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পিষে মারার কিছুক্ষণ আগেই ওই যুবতীকে ফোন করে খুনের হুমকি দেয় অভিযুক্ত।