আজ বিকেল: বাবা-মায়ের পছন্দের ছেলে বিয়ের পর উধাও হয়ে গিয়েছিলেন নববিবাহিতা তরুণী। শ্বশুরবাড়ি বাপের বাড়ির তরফে থানা পুলিশ করা হলেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। শেষপর্যন্ত রাজস্থান উত্তরপ্রদেশ ছেড়ে লেসবিয়ান বান্ধবীর সঙ্গে হরিয়ানায় থাকছেন সেই গহবধূ। পুলিশই খুঁজে খুঁজে এই যুগলকে পাকড়াও করেছে। যদিও আদালতের বিচারে দুজনেই একসঙ্গে থাকার অধিকার পেয়েছেন। ভালবাসার জয়ে খুশি সমকামী যুগল জানিয়েছেন, জোর করেই মেয়ের ইচ্ছের বিরুদ্ধা তেঁকে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য করেছিলেন বাবা-মা।
উল্লেখ্য, প্রথমে জানা যায়, বিয়ের পুরোহিতের সঙ্গে নতুন বউ পালিয়ে গিয়েছে। সেই নিয়ে কম হুলুস্থুলু হয়নি রাজস্থানে। মূলত উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরেই ওই তরুণীর বিয়ে হয়। দেখাশোনার বিয়ে, এরপরই ঠিক বিয়ের ২৩দিনের মাথায় উধাও হয়ে যায় নতুন বউ। অনেকে অনেক রকম কথা বলে। কেউ বলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে, বাবা-মা খবর পেয়েই রাজস্থান থেকে ছুটে আসেন। স্বামী স্ত্রীর খোঁজে থানায় অভিয়োগ দায়ের করেন। এতকিছুর মধ্যেও মেয়ে যে সমকামী, তা বলেননি গৃহবধূর বাবা-মা। ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার খোঁজ শুরু করে পুলিশ। শেষমেশ তাঁর দেখা মেলে হরিয়ানার মানেসরে। বাড়ি থেকে পালিয়ে নিজের সমকামী সঙ্গিনীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। সেই সমকামী সঙ্গিনীর সঙ্গে তাঁর গত চার বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছে। বাবা-মা সব জেনেশুনেই তাঁকে বিয়েতে বাধ্য করেছেন। অমত থাকা সত্ত্বেও বাড়ির লোক জোর করে তাঁর বিয়ে দিয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন তিনি।
এরপরেই সঙ্গিনী-সহ গৃহবধূকে আটক করে হরিয়ানা পুলিশ।তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে, নিজেদের যাবতীয় অভাব অভিযোগের কথা খুলে বলেন ওই যুগল। আদালতের তরফে এরপরে জানানো হয়, তাঁরা পরিণত। তাই নিজের ইচ্ছায় সঙ্গী নির্বাচনের করার অধিকার রয়েছে তাঁদের। এরপরই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁরা যেখানে খুশি থাকতে পারেন বলে এক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে পুলিশ।