আজ বিকেল: যেদিন জাত পাতের বীজ ঘুচে গিয়ে এদেশে এক প্রাণ এক মানুষ প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিনই বোধহয় পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করবে ভারতবর্ষ। তার আগে মৃত্যু হত্যা খুনোখুনি সম্মান রক্ষার লড়াই চলবে অহরহ। উঁচুজাতের মেয়েকে বিয়ে করে প্রাণ দিয়ে ভুলের মাশুল চোকালেন যুবক। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আমদাবাদের মণ্ডল তালুকের বরমোর গ্রামে। মৃত যুবের নাম হরেশ কুমার সোলাঙ্কি(৩৫)। শ্বশুরবাড়ির লোকজনই তাঁকে বেধড়ক মারধরের পর কুপিয়ে খুন করে। যদিও অভিযুক্তদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মৃত হরেশ কুমার কচ্ছের বাসিন্দা। মাস ছয়েক আগে বরমোর গ্রামে ঊর্মিলাবেন জালাকে বিয়ে করেন।দলিত পরিবারে মেয়ের বিয়ে শুরু থেকেই মেনে নিতে পারেনি ঊর্মিলার পরিবার। বিয়ের দু’মাস পর হরেশের বাড়ি থেকে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা। তার পর আর তাঁকে ফিরে যেতে দেননি বলে অভিযোগ। সেই থেকে বার বার চেষ্টা করেও স্ত্রীর নাগাল পাননি হরেশ। শেষমেশ উইমেন্স হেল্পলাইন ১৮১-র দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মতো সোমবার বিকেলে এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবল, গাড়ির চালক এবং এক কৌঁসুলিকে নিয়ে ঊর্মিলার বাপের বাড়িতে হাজির হন হরেশ। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটমাট করে নিয়ে ঊর্মিলাকে ফিরিয়ে আনাই উদ্দেশ্য ছিল তাঁদের।
আচমকা হরেশ ওই বাড়িতে হাজির হলে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিতে পারে ভেবে তাঁকে জিপে বসে থাকার পরামর্শ দেন ওই কৌঁসুলি। তিনি ওই পুলিশ কর্মীকে নিয়ে ঊর্মিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এক মাসের মধ্যে মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির ফেরত পাঠাবেন বলে সেখানে তাঁদের প্রতিশ্রুতি দেন ঊর্মিলার বাবা দশরথসিংহ জালা। কিন্তু তাঁদের এগিয়ে দিতে এসে গাড়িতে হরেশকে দেখে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন উর্মিলার পরিবারের সকলে। তাঁকে গাড়ি থেকে মারধর শুরু করা হয়। তলোয়ার, ছুরি দিয়ে কোপানোও হয় বলে অভিযোগ। তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় হরেশের। মারধর করা হয় ওই মহিলা পুলিশ কর্মীকেও। ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িটিতে। ঘটনার পর দশরথ সিংহ জালার গোটা পরিবার।