যোগীর রাজ্যে চূড়ান্ত অসৌজন্যের রাজনীতি, কেঁদে ফেললেন প্রিয়াঙ্কা

সোনভদ্র: জমি বিবাদকে ঘিরে রণক্ষত্র হয়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে যাওয়ার পথেই গ্রেপ্তার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ রাতভর পুলিশি হেফাজতে থাকার পর গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেও বাধা প্রিয়াঙ্কাকে৷ সোনভদ্রে ঢুকতে দেওয়া না হলেও মৃতের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে এলেও বাধা দেয় পুলিশ৷ পরে প্রিয়াঙ্কার তীব্র প্রতিবাদে পিছু হটে পুলিশ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের

যোগীর রাজ্যে চূড়ান্ত অসৌজন্যের রাজনীতি, কেঁদে ফেললেন প্রিয়াঙ্কা

সোনভদ্র: জমি বিবাদকে ঘিরে রণক্ষত্র হয়ে ওঠা উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে যাওয়ার পথেই গ্রেপ্তার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ রাতভর পুলিশি হেফাজতে থাকার পর গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতেও বাধা প্রিয়াঙ্কাকে৷ সোনভদ্রে ঢুকতে দেওয়া না হলেও মৃতের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে এলেও বাধা দেয় পুলিশ৷ পরে প্রিয়াঙ্কার তীব্র প্রতিবাদে পিছু হটে পুলিশ৷ মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে শেষমেষ কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা৷ গাছেন নীচে মাটিতে বসে মৃত ১১ দলিত পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি৷

গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃত ১১ জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রিয়ঙ্কা৷ কিন্তু, মাঝপথে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ৷ ১৪৪ ধারা জারি থাকার অছিলায় পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি৷ চলে ধর্না৷ পরে বিশাল পুলিশ গিয়ে প্রিয়ঙ্কা গ্রেপ্তার করে৷ কংগ্রেস নেত্রীর দাবি, তিনি ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন না করে তিন সদস্যকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে চান৷ কিন্তু, তেও আপতি তোলে পুলিশ৷ পরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে একটি গেস্ট হাউসে রাখার ব্যবস্থা করে৷ পরে, আজ সকালে ফের ঘটনাস্থলে যাওয়ার দাবি তোলেন তিনি৷ কিন্তু, তাঁকে ফের আটকে দেওয়া হয়৷ পরে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে আসেন৷ সেখানেও তাঁদের বাধা দেওয়া হয়৷ পরে, রাস্তায় বসে পড়তেই পিছু হটে পুলিশ৷ সেখানেই মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন প্রিয়াঙ্কা৷

গত বুধবার দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিতে নিহত তিন মহিলা সহ ৯৷ আহত হন ১৯ জন৷ ঘটনাস্থল সোনভদ্র জেলার ঘোরাওয়াল অঞ্চলের সপাহি গ্রাম৷ অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে জমি ঘিরে একটি বিবাদ চলছিল৷ দু’বছর আগে ওই গ্রামে ৯০ বিঘা জমি কিনেছিলেন গ্রাম প্রধান যজ্ঞ দত্ত৷ গত বুধবার সেই জমির দখল নিতে গেলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন৷ এই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়৷ অভিযোগ, এরপরই অপর পক্ষের দিকে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে গ্রামপ্রধান ও তার দলবল৷ ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়৷

গোটা ঘটনায় আদিত্যনাথ প্রশাসনকে তুলোধনা করেছেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ আজ তৃণমূলের তরফেও সোনভদ্রে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty − seven =