কলকাতা: ইভিএম বিতর্কে জাতীয় স্তরে যৌথ আন্দোলনের কর্মসূচির রূপরেখা নির্ধারণ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের সঙ্গে বসতে আপত্তি নেই সিপিএমের৷ তবে, জাতীয় স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার টেবিলেও বসলেও বাংলার অস্থির পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধিতার জারি থাকে বামেদের তরফে৷ জাতীয় স্তরে এক নীতি ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে অন্যনীতির গেরোয় কর্মমহলে শুরু হয়েছে বিদ্রোহের পরিবেশ৷ কেননা, মাঠে ময়দানে সীমিত শক্তি দিয়ে তৃণমূল-বিজেপির সঙ্গে আজও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নীচু তলার কর্মীরা৷ ফলে, সেই তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে বাম নেতৃত্বকে দেখে হতাশ হতে পারেন কর্মীরা, মত পর্যবেক্ষক মহলের৷
কিন্তু, জাতীয় স্তরে যৌথ কর্মসূচি হলেও বাংলায় কেন বিরোধিতা? বাম সূত্রে খবর, গত আট বছরে তৃণমূল জমানায় রাজ্যে বিজেপি-আরএসএসের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক হানাহানির ঘটনাও বেড়েছে৷ মমতার প্রশাসন হিন্দু মৌলবাদীদের রুখতে মোটেও আন্তরিক নয় বলে সিপিএম নেতৃত্বের বিশ্বাস৷ আর এই কারণে বাংলায় তারা কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে তৈরি৷
বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল, নাকি তৃণমূলকে রুখতে বিজেপি? সিপিএমের অন্দরে এই বিতর্ক অবিলম্বে বন্ধ করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷ লোকসভা ভোটের শোচনীয় ফলের কারণ খতিয়ে দেখতে দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রারম্ভিক ভাষণে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে সূর্যবাবু একথা বলেন৷ বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিসহ একাধিক পলিটব্যুরো সদস্য উপস্থিত রয়েছেন৷