বদলে যাচ্ছে সেনা উর্দি, কারণ জানলে চমকে যাবেন

নয়াদিল্লি: আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ এবার এসে পড়ল সেনাবাহিনীর পোশাকে। খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার পোশাককে পরিবর্তিত আবহাওয়া অভ্যস্ত করার লক্ষ্যে বদল করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই ভারতীয় সেনার উর্দির বদলের প্রস্তাব এসেছে। এখন সেনাদের যে উর্দিটি রয়েছে তার মূল উপাদান টেরিকট ফাইবার। এটা মজবুত, ছেড়ে কম। কিন্তু দেশজুড়ে

বদলে যাচ্ছে সেনা উর্দি, কারণ জানলে চমকে যাবেন

নয়াদিল্লি: আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ এবার এসে পড়ল সেনাবাহিনীর পোশাকে। খুব শীঘ্রই ভারতীয় সেনার পোশাককে পরিবর্তিত আবহাওয়া অভ্যস্ত করার লক্ষ্যে বদল করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্রে জানা গিয়েছে, বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতেই ভারতীয় সেনার উর্দির বদলের প্রস্তাব এসেছে।

এখন সেনাদের যে উর্দিটি রয়েছে তার মূল উপাদান টেরিকট ফাইবার। এটা মজবুত, ছেড়ে কম। কিন্তু দেশজুড়ে যেভাবে গরম আর আর্দ্রতা বাড়ছে তাতে ওই উপাদানের পোশাক তো আরামদায়ক নয়ই, উলটে মারাত্মক কষ্ট দেয়। গত জানুয়ারি মাস থেকে লাগাতার সমীক্ষা চালানোর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। গরমের দিকে তাকিয়েই এবার সেনাদের জন্য সুতি উর্দি আনার কথা ভাবা হচ্ছে।

এর আগেও অবশ্য দু-দু’বার সেনাদের জন্য সুতির পোশাক আনা হয়েছিল। কিন্তু জওয়ানরাই জানিয়েছিলেন, সুতির উর্দি রক্ষণাবেক্ষণ করা সহজ নয়। কাচার সঙ্গে পরিপাটি করে ইস্ত্রিও করতে হয়। সে দিক থেকে টেরিকট উর্দি অনেকটা ভাল। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে টেরিকট বদলে যাওয়া ভারতীয় আবহাওয়ার জন্য যথাযথ নয়। তাই আবারও সুতি উর্দির ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হল। এবার উর্দি বদলে ক্ষেত্রে আবহাওয়ার বিষয়টি বিশেষ করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নতুন উর্দিতে সার্ভিস স্ট্রিপটা অবশ্য কোথায় বসবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এখন জওয়ানদের কাঁধে বসানো হয় ওই স্ট্রিপ।

কিন্তু তা হটিয়ে এখন তা বসানো হবে বোতামের জায়গায়। সেই সঙ্গে উর্দির বাইরে যে বেল্টটি পরা হয় সেটি ভিতরের দিকে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। সমীক্ষায় জওয়ানদের কাছ থেকে পোশাক নিয়ে রকমারি অস্বস্তি কাটাতে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব কিছুর পর উর্দি শার্ট আর ট্রাউজারের রঙ বদলানোর বিষয়টি এখনো ঠিক করা যায়নি। তা নিয়ে চলছে নানাবিধ পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র জানিয়েছেন, শুধু ভারতে নয়, উষ্ণায়নের জেরে গোটা বিশ্বে বিভিন্ন সেনার উর্দি পরিবর্তন নিয়ে চর্চা চলছে। উর্দির কাপড়ের সঙ্গে তা যথেষ্ট পরিমাণে আরামদায়ক করতে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক সংস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের উর্দির ভালোর দিকগুলোকে ভারতীয় সেনার উর্দিতে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর আগেও ভারতীয় সেনার তিনবার উর্দি বদলানো হয়েছে। প্রথমবার বদল আনা হয় স্বাধীনতার পর।

ভারতীয় সেনার সঙ্গে পাকিস্তানি সেনার উর্দির পার্থক্য বোঝানোর জন্য এই বদলটি আনার দরকার ছিল। পাকিস্তান সেনাদের জন্য খাদি উর্দি ব্যবহার করতো। তাই ভারতীয় সেনার উর্দির রঙ করতে হয়েছিল সবজে। ১৯৮০সালে আবারও দ্বিতীয় বারের জন্য পালটাতে হয়। এই সময়ই পলিয়েস্টার ফ্যাব্রিক দিয়ে উর্দি বানানো শুরু হয়। নাম দেওয়া হয়েছিলো এই ‘ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন বেল্ট ড্রেস’। এটি গরম কিংবা আর্দ্র আবহাওয়া জন্য মানানসই ছিল না। এরপর ২০০৫সালে এই ‘ডিসরাপটিভ প্যাটার্ন বেল্ট ড্রেস’-র মধ্যে আবারও অল্পবিস্তর বদল করা হয়। বিএসএফ আর সিআরপিএফ’র উর্দির সঙ্গে পার্থক্য তৈরি করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছিল। কিন্তু এই প্রথম আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ এসে পড়লো সেনার পোশাকে। অসামরিক বাহিনীতেও এই পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে সূত্রে খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × four =