এখন যে কোনও ব্যক্তিকেই জঙ্গি তকমা দিতে পারবে কেন্দ্র, আসছে আইন

নয়াদিল্লি: সন্দেহভাজন যে কোনও ব্যক্তিকেই জঙ্গি তকমা দিতে পারবে সরকার৷ দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে লোকসভায় সংশোধনী বিল পাস করিয়ে এবার রাজ্যসভারও অনুমোদন পেল কেন্দ্র৷ এবার রাষ্ট্রপতির সই করেই আইনি পরিণত হবে নয়া আইন৷ বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইন ২০১৯ বা ইউএপিএ সংশোধনী বিল লোকসসভার পর রাজ্যসভায় পাস হওয়ায় এখন অপেক্ষা শুরু রাষ্ট্রপতির অনুমোদন৷ ফলে, কেন্দ্রের নয়া

এখন যে কোনও ব্যক্তিকেই জঙ্গি তকমা দিতে পারবে কেন্দ্র, আসছে আইন

নয়াদিল্লি: সন্দেহভাজন যে কোনও ব্যক্তিকেই জঙ্গি তকমা দিতে পারবে সরকার৷ দেশে জঙ্গি কার্যকলাপ রুখতে লোকসভায় সংশোধনী বিল পাস করিয়ে এবার রাজ্যসভারও অনুমোদন পেল কেন্দ্র৷ এবার রাষ্ট্রপতির সই করেই আইনি পরিণত হবে নয়া আইন৷

বেআইনি কার্যকলাপ দমন আইন ২০১৯ বা ইউএপিএ সংশোধনী বিল লোকসসভার পর রাজ্যসভায় পাস হওয়ায় এখন অপেক্ষা শুরু রাষ্ট্রপতির অনুমোদন৷ ফলে, কেন্দ্রের নয়া বিলে সন্ত্রাস-মোকাবিলা বিলের পরিবর্তন এনে যে কোনও ব্যক্তিতেই খুল্লাম খুল্লা জঙ্গি তকমা দিতে পারবে মোদির সরকার৷ নয়া বিলের সংশোধনী নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ লোকসভায় প্রবল আপত্তির পর এবার রাজ্যসভায় ছন্নছাড়া বিরোধীদের অবস্থা থাকায় বিলটি পাস হয়ে যায়৷

দেশে জঙ্গি মোকাবিলায় সংশোধনী বিল প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘‘কাউকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার জন্য আইন জরুরি৷ এর জন্য রাষ্ট্রসংঘে একটি পদ্ধতি রয়েছে৷ পাকিস্তানেও আছে৷ চিন, ইজরায়েল, ইউরোপীয় ইউনিয়নগুলি তা কার্যকর করা আছে৷ প্রত্যেকের এই আইন করেছে৷’’ অমিত শাহ উল্লেখ করেন, যদি একটা জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়, তাহলে একজন জঙ্গি আরেকটি সংগঠন তৈরি করে ফেলতে পারে৷ তাই ন্ত্রাস-মোকাবিলা বিলের পরিবর্তন আনা হচ্ছে৷

বিলটির বিরোধীতা করে আগেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন, যদি কেন্দ্র কাউকে টার্গেট করার চেষ্টা করে, তাঁদের কোনও না কোনও আইনের সাহায্য দেওয়া হলে তাঁকেও ধরা হবে৷ বিরোধী নেতা, সংখ্যালঘু, আরটিআই আন্দোলনকারী ও অন্যান্যরা, তাঁরা যদি সরকারের কোনও মতামত, যা সরকার আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, তার বিরোধিতা করে, তাহলেই বিরোধীদের ওপর রাষ্ট্রবিরোধী তকমা সেঁটে দেওয়া হতে পারে৷

বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের বিরোধিতা করলে, তাঁকে রাষ্ট্রবিরোদী তকমা দেওযা হয়, তার উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন, প্রকৃত সমাজকর্মীকে কেউ হেনস্তা করবে না৷ অনেক সমাজকর্মীই রয়েছেন, যাঁরা ভাল কাজ করেন৷ কিন্তু নাগরিক মাওবাদীদের বিলুপ্ত করতে হবে৷ ইউএপিএ আইন নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতারও অভিযোগ তোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী৷ বলেন, যখন আপনারা, আমাদের দিকে প্রশ্ন তোলেন, তখন এটা দেখেন না, আইন ও সংশোধনী কারা এনেছিল? কারা একে শক্তিশালী করেছিল? এটা আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আনা হয়েছিল৷ সেই সময় আপনারা যা করেছিলেন সেটা ঠিক? এখন আমি যা করছি সেটাও ঠিক৷ সরকার সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় ক্ষমতায় বাড়াতে চাইছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 3 =