আত্মহত্যা করতে চাওয়া অটো চালক এখন হাজার মানুষের অন্নদাতা

চেন্নাই: চেয়ে ছিলেন আত্মহত্যা করতে৷ কিন্তু, পারেননি৷ ভাগ্যের এমনই পরিহাস, সেই অটো চালক এখন হাজার মানুষের অন্নদাতা৷ চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মুরুগান৷ দশম শ্রেণিতে ফেল করে নিজের মনে প্রতিজ্ঞা নেন, এই জীবন আর রাখবে না৷ নিজেকে শেষ করে দেবেন৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন ৫০০ কিমি দূরে একটি শহরে৷ সেখানেই আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা নেন মুরুগান৷ রাত ২টো

আত্মহত্যা করতে চাওয়া অটো চালক এখন হাজার মানুষের অন্নদাতা

চেন্নাই: চেয়ে ছিলেন আত্মহত্যা করতে৷ কিন্তু, পারেননি৷ ভাগ্যের এমনই পরিহাস, সেই অটো চালক এখন হাজার মানুষের অন্নদাতা৷

চেন্নাইয়ের বাসিন্দা মুরুগান৷ দশম শ্রেণিতে ফেল করে নিজের মনে প্রতিজ্ঞা নেন, এই জীবন আর রাখবে না৷  নিজেকে শেষ করে দেবেন৷ বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে গিয়েছিলেন ৫০০ কিমি দূরে একটি শহরে৷ সেখানেই আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা নেন মুরুগান৷ রাত ২টো নাগাদ এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা হয় তাঁর৷ ওই ব্যক্তির হাত ধরে নতুন ভাবে জীবনে বেঁচে থাকার আশা জাগায়৷

সেই ব্যক্তি ছিলেন একজন মুচি৷ মুরুগান বুঝতে পারেন তার থেকেও অনেক বেশি অসুবিধার মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্চেন বহু মানুষ৷ সারাদিন খাবার জোগাড়ের লড়াই৷ না হলে খালি পেটে থাকতে হবে৷ সেইদিন থেকেই মুরুগান ঠিক করে সেইসব মানুষদের মুখে রুটি তুলে দেবেন৷ তা জোগাড় করার ক্ষমতা তিনি আর্জন করবেন৷ সেই শুরু৷ বাড়ি ফিরে পরবর্তীকালে ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে অটো চালাতে শুরু করেন মুরুগান৷ প্রতি মাসে উপার্জন থেকে  মুরুগানের খাবার তৈরি করে বিলি করতে থাকেন পথশিশুদের জন্য৷ এরপর ধীরে ধীরে শুরু করেন একটি সংস্থা৷ নাম দেন, নিঝাল মাইয়াম৷ অর্থ ঘরহীনদের ছায়া৷ প্রতি রবিবার তারা প্রায় হাজারজনেরও বেশি মানুষকে খাওয়ান৷ প্রায় ২৫টি পরিবারের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই নিজের ঘাড়ে তুলে নিয়েতেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 18 =