কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ টুইটারে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু জানেন কি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অরুণ জেটলি সম্পর্ক কেমন ছিল?
বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শগত মতপার্থক্য থাকলেও অরুণ জেটলির সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল বেশ ভাল৷ রাজ্যের বিশেষ আর্থিক অনুমোদনের জন্য একাধিকবার অরুণ জেটলির দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ডেকে এনেছিলেন নবান্নে৷ ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর নবান্নে আসেন অরুণ জেটলি৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণে সেদিন প্রথম নবান্নে পা রাখেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ সেখানে মাথা নত করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তাঁকে স্বাগত জানান৷ এরপর নবান্ন নিয়ে গিয়ে প্রায় চারঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
শুধু এখানেই শেষ নয়, এর আগেও বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে অরুণ জেটলিকে অতিথি করে এনেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অরুণ জেটলিকে পাশে বসিয়ে দিয়েছিলেন শিল্প বার্তা৷ বাংলায় বিজেপির উত্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবল আপত্তি থাকলেও দিল্লিতে তিনি গিয়েছেন ততোবারই অরুণ জেটলির সঙ্গে দেখা করেছেন৷ গত ২৮ মে ২০১৬ সালে কলকাতার রেড রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন জেটলি৷ সেখানেই একান্তে দু’জনের দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন৷ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকলেও অরুণ জেটলি ছিলেন তাঁর বিশেষ পছন্দের৷
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অরুণ জেটলিকে জানিয়েছিলেন আমন্ত্রণ৷ কলকাতায় এসেছিলেন অরুণ জেটলি৷ দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক এতটাই মধুর ছিল, রাজনৈতিক ময়দানে কখনই জেটলি অথবা মমতা দু’জন দু’জনের বিরুদ্ধে আক্রমনের পথে হাঁটেননি কখনও৷ এমনকী, রাজ্যের ঋণ বিষয়ক আলোচনার টেবিলে বসে সব সুষ্ঠু সমাধানের পথে হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের৷
আজ সকালে অরুণ জেটলি প্রায়াণে সেই সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটারে লিখলেন, ‘‘অরুণ জেটলি প্রাণে আমি শোকস্তব্ধ৷ অসাধারণ সংসদ ও আইনজীবী ছিলেন তিনি৷ রাজনীতিতে জেটলির অবদান সবাই রাখবে৷ ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান স্মরণ করা হবে৷ তাঁর স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু ও সমর্থকদের প্রতি আমার সমবেদনা৷’’