মোদির ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে বঞ্চিত বাংলার সংস্কৃতি!

নয়াদিল্লি: শরীর চর্চার উপর গুরুত্ব বাড়াতে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র৷ আজ সকালেই দেশজুড়ে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি৷ মূলত শরীর চর্চার গুরুত্ব দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্রের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরা

মোদির ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিতে বঞ্চিত বাংলার সংস্কৃতি!

নয়াদিল্লি: শরীর চর্চার উপর গুরুত্ব বাড়াতে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র৷ আজ সকালেই দেশজুড়ে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন তিনি৷ মূলত শরীর চর্চার গুরুত্ব দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে৷ কিন্তু কেন্দ্রের ‘ফিট ইন্ডিয়া’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে৷ সেখানে বিহু থেকে শুরু করে ভাংরা নাচ প্রভৃতি দেখানো হয়৷ ভারতীয় লোক সংস্কৃতির মধ্যেও যে শরীরচর্চার মিশ্রণ রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়৷ সেখানে দেশীয় খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরচর্চার প্রসঙ্গ তুলে আনা হয়৷

বাইচ প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে কুস্তি, ছোটদের লুপ্তপ্রায় খেলাগুলিও কেউ তুলে ধরা হয়৷ কিন্তু, অভিযোগ প্রায়ই ২০ মিনিট ধরে চলা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোক সংস্কৃতি তুলে ধরা হলেও স্থান পেল না বাংলার কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান৷ এমনকি বাংলার কোনও খেলা সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে দেখা যায়নি৷

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তুলে ধরার মাধ্যমে শরীরচর্চার প্রসঙ্গ তুলে ধরার চেষ্টা করা হলেও বাংলার কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সেখানে তুলে ধরা হয়নি বলেও নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে৷ বাংলার আদিবাসী ছৌ নাচ কিংবা দুর্গাপুজোয় ধুনুচি নাচও মোদির ‘ফিট ইন্ডিয়া’য় কোনও গুরুত্ব পায়নি বলেও অভিযোগ৷ আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক৷

অনেকেই বলছেন, মোদির দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পেছনে বাংলার ১৮টি আসনের ভূমিকা ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ৷ এমনকি ২০২১ এর লোকসভা বিধানসভা নির্বাচনের টার্গেট রয়েছে নরেন্দ্র মোদির৷ কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে বিজেপির পাখির চোখ বাংলা হলেও কেন্দ্রের নয়া কর্মসূচিতে বাংলার সংস্কৃতি বা লোক সংস্কৃতির কোনও বিষয় উল্লেখ না থাকায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

অনেকেই বলছেন, এবারও কি বাংলা বঞ্চনার শিকার হয়ে রইল? কারণ দেশের সংস্কৃতির রাজধানী হিসাবেই কলকাতাকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানেও বাংলার নাম গন্ধ না দেখে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন৷ এমনকি বাংলার কোন পরিচিত খেলাকেও সেই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেখানো হয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − eighteen =