Assam NRC: দেশ-পরিচয় হারিয়ে ভিটে ছাড়া হওয়ার মুখে ১৯ লক্ষ মানুষ

অসম: রাতারাতি দেশ-পরিচয় হারানোর মুখে অসমের ১৯ লক্ষ মানুষ৷ চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ১৯ লক্ষ ছ’হাজার মানুষ৷ এর আগে এনআরসির খসড়া তালিকায় প্রায় ৪১ লক্ষ মানুষের নাম বাতিল হয়েছিল৷ এবার চূড়ান্ত তালিকায় নতুন করে ২০ লক্ষ মানুষের নাম সংযুক্ত হলেও তালিকা থেকে বাদ পড়লেন আরও ১৯ লক্ষ নাগরিক৷ রাতারাতি দেশছাড়া হয়ে মাথার উপর

Assam NRC: দেশ-পরিচয় হারিয়ে ভিটে ছাড়া হওয়ার মুখে ১৯ লক্ষ মানুষ

অসম: রাতারাতি দেশ-পরিচয় হারানোর মুখে অসমের ১৯ লক্ষ মানুষ৷ চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়লেন ১৯ লক্ষ ছ’হাজার মানুষ৷ এর আগে এনআরসির খসড়া তালিকায় প্রায় ৪১ লক্ষ মানুষের নাম বাতিল হয়েছিল৷ এবার চূড়ান্ত তালিকায় নতুন করে ২০ লক্ষ মানুষের নাম সংযুক্ত হলেও তালিকা থেকে বাদ পড়লেন আরও ১৯ লক্ষ নাগরিক৷ রাতারাতি দেশছাড়া হয়ে মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা তালিকায় নাম না থাকায় পরিবারগুলির৷

কিন্তু, কী হবে এরপর? সত্যিই কি তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে? দেশ ছাড়তে হলে যাবেন কোথায়? ভিটেছাড়া হওয়ার ভয়ে তালিকায় নাম বাদ পড়া পরিবারগুলির মধ্যে তৈরি হয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা৷ কোথায় যাবেন? কী করবেন? জানেন না অনেকেই৷ তবে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে, বাদ পড়া ব্যক্তিদের জন্য অবশ্য ১২০ দিনের সময় সীমা থাকছে৷ ট্রাইব্যুনালে গিয়ে তাঁরা মামলাও দায়ের করতে পারেন৷ কিন্তু সেই মামলা করতে গেলেও তো অনেক টাকার প্রয়োজন৷ যে পরিবারে দু’মুঠো খাবারের ব্যবস্থা করাটাই তাঁদের কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ, সেখানে প্রায় ৫০ হাজার টাকা গুনে মামলা করাটা এখন আকাশ কুসুম স্বপ্ন৷

প্রশাসন বলছে, ১২০ দিনের মধ্যে তাঁরা নতুন করে তাঁদের নথিপত্র দেখিয়ে এনআরসির তালিকায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যাঁদের নাম গত দেড় বছরেও উঠল না তাঁদের নাম কী করে এই ১২০ দিনের মধ্যে উঠবে? নথিপত্রের সমস্যা ঠিক কোথায়? ১৯ লক্ষ পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে৷

ভিটেমাটি ছাড়া আর আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে অসময়ের ১৯ লক্ষ পরিবারের৷ যদি এই ১৯ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে থাকেন, তাহলে তাঁদের জন্য পৃথক কোনও বন্দোবস্ত কী আদৌ করা সম্ভব? নাকি তাঁদের জেলের ঘানি টানতে হবে? অথবা চলে যেতে হবে রিফিউজি ক্যাম্পে? শুরু হয়েছে নানান জল্পনা৷

এনআরসির তালিকা ঘিরে বিতর্ক ও অশান্তির আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজার অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছে মোতায়েন করা হয়েছে৷ জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা৷ মাইকে মাইকে প্রশাসন গুজবে কান না দেওয়ার প্রচার শুরু করেছে৷ কন্ট্রোলরুম খুলেছে রাজ্য পুলিশ৷ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, এনআরসি তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর কেউ আতঙ্কিত হবেন না৷ রাজ্যজুড়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছে৷ গুজবে কান দিতে রাজ্যবাসীকে আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ জানা গিয়েছে, এই তালিকায় ২০ লক্ষ নাগরিকের নাম নতুন করে তোলা হয়েছে৷ ১৯ লক্ষ ছ’হাজার নানুষের নাম বাদ পড়েছে পড়েছে৷ তালিকায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি মানুষের নাম৷ (এই লিঙ্কে দেখুন NRC তালিকা- https://www.thefinalnrc.com/FinalNRC/Draft.htm)

ইতিমধ্যেই আজ বেলা ১০টায় চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে৷ এই চূড়ান্ত তালিকায় যাঁদের নাম উঠবে না তাঁদের জন্য আরও ১২০ দিনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে৷ নথিপত্র দেখিয়ে ফের নাম নথিভুক্ত করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে অসম প্রশাসনের তরফে৷ ইতিমধ্যেই এনআরসির খসড়া তালিকায় ৪১ লক্ষ্য নাগরিকের নাম না ওঠায় শুরু হয়েছিল বিতর্ক৷ এবার ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসি চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত না হওয়ায় নতুন করে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ গোটা পরিস্থিতির ওপর ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল৷ কংগ্রেস-তৃণমূল সহ অন্যান্য বিরোধীরাও এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা উপর নজর রাখছে৷ প্রয়োজনে বিশেষ গণ-আন্দোলনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন বিরোধীরা৷ শেষ মুহূর্তে যাঁদের নাম উঠল না, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তাও দেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × four =