নয়াদিল্লি: গত ১০০ দিনে কী কী করেছে মোদি সরকার? জনসভা থেকে তার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি৷ একই সঙ্গে কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি নিয়েও মুখ খোলেন মোদি৷ জানিয়ে দেন, পরিবারতন্ত্র ভারতকে শেষ করে দিয়েছে৷
রবিবার রোহতকের এক জনসভায় মোদি বলেন, ১০০ দিনে যা হয়েছে গত ৬০ বছরে তা হয়নি৷ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এক ইঞ্জিন হয়ে কাজ করছে৷ কাশ্মীর থেকে গত সাত দশকের সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হয়েছে৷ তুলে নেওয়া হয়েছে ৩৭০ ধারা৷ এখন সেখানে শান্তি বিরাজ করছে৷
মোদি জানান, রেকর্ড সংখ্যক বিল পাস হয়েছে গত ১০০ দিনে৷ ভারত এখন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তৈরি৷ গত ১০০ দিনে সংসদে যত কাজ হয়েছে তা ৬০ বছরে কেউ করে দেখাতে পারেনি৷ এই রেকর্ড সংখ্যক বিল পাসের জন্য আমি সবসময় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি৷ এই কাজের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির ধন্যবাদ প্রাপ্য৷ আমি মনে করি যে ভাবে ভারত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে তাতে ভারতকে আগামী দিনে সমস্ত দেশ সমীহ করে চলবে৷ জানান, জম্মু-কাশ্মীর থেকে লাদাখ হোক অথবা জল সংকট, ১৩০ কোটি জনতা মিলে কাজ করলে দেশের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ কন্যা সন্তানের জন্মের হার বেড়েছে ভারতে৷ আজ ৮ কোটি দরিদ্র মানুষের হাতে উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ এটা কেন্দ্র সরকারের কম সাফল্য নয়৷
PM Modi in Rohtak, #Haryana: Be it the matter of Jammu, Kashmir & Ladakh or of worsening water crisis, 130 crore citizens of India have started looking for new solutions to the problems. pic.twitter.com/nkQOjzgukL
— ANI (@ANI) September 8, 2019
PM Modi in Rohtak, #Haryana: This is the third time in the past few months that I am visiting Rohtak. This time I am here to ask for more support. And Rohtak has always given me more than what I asked for. pic.twitter.com/AwT01Mqjh5
— ANI (@ANI) September 8, 2019
এছাড়া ওইদিন পেনশন প্রকল্প থেকে শুরু করে শ্রমিক-কৃষকের জন্য কেন্দ্র সরকারের যোজনা গুলিও তথ্য তুলে ধরেন মোদি৷ জানান, ২০২২ এর মধ্যে ভারতের সমস্ত কৃষকের আয় দ্বিগুণ হবে৷ এটাই ভারত সরকারের প্রথম সংকল্প৷ কৃষকদের উৎপাদিত ফসল যাতে নষ্ট না হয় সেটাও সরকার দেখবে৷
শিল্পীর প্রসঙ্গে বলেন, আজ বহু শিল্পপতি ভারতে এসে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চাইছেন৷ তাঁরা নিয়োগ করছেন৷ আর এই কারণে ভারতের কর্মসংস্থান বাড়ছে৷ কিন্তু বিশ্বের মন্দা অর্থনীতির জন্য কিছুটা প্রভাব আমাদের দেশেও৷ সেটাও আমরা দ্রুত মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি৷
২০২৪ এর মধ্যে দেশের সমস্ত বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া মোদি সরকারের প্রথম লক্ষ্য বলেও জানান তিনি৷ সেই লক্ষ্যে আমরা অনেকটাই অগ্রসর হতে পেরেছি বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী৷