নয়াদিল্লি: বিতর্কের শেষ নেই৷ দীর্ঘদিন ধরে চলছে অযোধ্যা মামলার প্রক্রিয়া৷ ব্যর্থ মধ্যস্থতা৷ কিন্তু, হাল ছাড় আদালত৷ এবার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির ইঙ্গিত দিল দেশের শীর্ষ আদালত৷ মামলার শুনানি শেষ করার বিষয়ে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷
আজ অযোধ্যা মামলার শুনানিতে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অযোধ্যা মামলা শুনানি শেষ করতে হবে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে৷ শেষ করতে হবে শুনানি৷ প্রয়োজনে বাড়তি সময় কাজের পরামর্শ শীর্ষ আদালতের৷ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে দেশের শীর্ষ আদালত এই ইঙ্গিত ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷ তাহলে কি ২০১৯ সালের মধ্যেই অযোধ্যা মামলা রায় দেবে দেশের শীর্ষ আদালত? আদালতের নির্দেশে আলোড়ন দেশজুড়ে৷
যদিও এর আগে অযোধ্যা মামলা বিবাদ মেটানোর বিষয়ে আদালতের গঠিত মধ্যস্থতা কমিটি খারিজ হয়ে যায়৷ কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ১৫৫ দিনের মাথায় সেই কমিটির প্রয়োজনীয়তা তুলে নেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি নিয়ে গঠিত কমিটি বিবাদ মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ রাম জন্মভূমি বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে কী হবে, তা নিয়ে এখনও চলছে মামলা৷ গত ৬ আগস্ট থেকে প্রতিদিন এই মামলার শুনানি চলছে৷ এবার দীর্ঘ মামলার সওয়াল-জবাব দ্রুত নিষ্পত্তির ইঙ্গিত দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷
The five-judge Constitution bench, headed by Chief Justice of India Ranjan Gogoi, also said, “simultaneously the mediation process can go along with the hearing, which is going on in SC, and if an amicable settlement is reached through by it, the same can be filed before the SC” https://t.co/55bPIJkt1t
— ANI (@ANI) September 18, 2019
অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি! রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করে থাকেন৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পোড়ে ভারতের৷ ১৯৯২ সালের দাঙ্গার বলি হন অন্তত দু’হাজার মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ অন্য একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া৷ তৃতীয় ভাগটি রাম লাল্লার জন্য বরাদ্দ হবে৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা দায়ের হয়৷ মামলার গেরোয় এখনও থমকে রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদের ভাগ্য৷