অযোধ্যা মামলায় নাটকীয় মোড়, এজলাসে ছেঁড়া হল অযোধ্যা নকশা

নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলায় নাটকীয় মোড়৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মামলার শুনানি পর্বে ছেঁড়ে হল অযোধ্যা নকশা৷ জানা গিয়েছে, অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার তরফে অযোধ্যা একটি নকশা সাংবিধানিক বেঞ্চে দাখিল করা হয়৷ মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সেই নকশার কাগজপত্র এজলাসের মধ্যেই ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ৷ এজলাসে এহেন কাণ্ড দেখে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত৷ এজলাস ছেড়ে যাওয়ার

অযোধ্যা মামলায় নাটকীয় মোড়, এজলাসে ছেঁড়া হল অযোধ্যা নকশা

নয়াদিল্লি: অযোধ্যা মামলায় নাটকীয় মোড়৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মামলার শুনানি পর্বে ছেঁড়ে হল অযোধ্যা নকশা৷

জানা গিয়েছে, অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার তরফে অযোধ্যা একটি নকশা সাংবিধানিক বেঞ্চে দাখিল করা হয়৷  মুসলিম ওয়াকফ বোর্ডের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সেই নকশার কাগজপত্র এজলাসের মধ্যেই ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ৷ এজলাসে এহেন কাণ্ড দেখে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত৷ এজলাস ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি৷ পরে কোনোক্রমে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি৷ এদিন মামলার শুনানিতে অযোধ্যায় রামের জন্ম প্রসঙ্গে আজ অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার তরফে একটি বই পেশ করা হয়৷ সাংবিধানিক বেঞ্চকে সেই বইটি পড়তে আর্জি জানানো হয়৷ আদালতের তরফে বইটি নভেম্বর মাস নাগাদ পড়া হবে বলে জানানো হয়৷

অন্যদিকে, অযোধ্যা মামলা থেকে সরে দাঁড়াতে ইচ্ছা প্রকাশ সন্নি ওয়াকফ বোর্ডের৷ নতুন করে কোনও হলফনামা নেবে না সুপ্রিম কোর্ট৷ আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ নির্দেশ আদালতের৷ আগামী মাসেই রায় দিতে চলেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ বিতর্কিত অযোধ্যা জমি মামলায় মধ্যস্থতাকারীদের পাল্টা শর্ত বোর্ডের৷ নতুন করে হলফনামা জমা নেবে না আদালত৷ সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক বেঞ্চ শুনানির শেষ হচ্ছে আজ৷ আজ ৪০ দিনের শুনানি চলার পর আদালতের পর্যবেক্ষণ, যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়৷

আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যেই শুনানি শেষ করতে বলেছে আদালত৷ আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি অবসর নেবেন৷ তার আগে হতে পারে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা৷ টানা ৪০ দিন প্রতিদিন শুনানি চলছে৷ আজ পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানির শেষ দিন ধার্য হয়েছে৷ ১৩৪ বছরের পুরনো বিতর্কিত জমি মামলার জেরে অযোধ্যায় আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জার রাখার নির্দেশ আদালতের৷

অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি! রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করে থাকেন৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পোড়ে ভারতের৷ ১৯৯২ সালের দাঙ্গার বলি হন অন্তত দু’হাজার মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ অন্য একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া৷ তৃতীয় ভাগটি রাম লাল্লার জন্য বরাদ্দ হবে৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা দায়ের হয়৷ মামলার গেরোয় এখনও থমকে রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদের ভাগ্য৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − thirteen =