জানেন কী, ঠিক কী কারণে এখনও জেলে বন্দি পি চিদাম্বরম?

নয়াদিল্লি: দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র এবং অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের জামিন হল। কিন্তু, জেল-মুক্তি হলো না। কারণটা পরিষ্কার, দিল্লি হাইকোর্টের অর্ডারকে সরিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট চিদাম্বরম কে জামিন দিলেও সেটি ছিল সিবিআই এর অভিযোগ। কিন্তু, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তদন্তের মামলার ভিত্তিতে তিনি এখন জেলে রয়েছেন। কিন্তু, জেনে রাখা দরকার আই এন এক্স দুর্নীতি মামলায় পি চিদাম্বরম এবং

নয়াদিল্লি: দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র এবং অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের জামিন হল। কিন্তু, জেল-মুক্তি হলো না। কারণটা পরিষ্কার, দিল্লি হাইকোর্টের অর্ডারকে সরিয়ে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট চিদাম্বরম কে জামিন দিলেও সেটি ছিল সিবিআই এর অভিযোগ। কিন্তু, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযোগের তদন্তের মামলার ভিত্তিতে তিনি এখন জেলে রয়েছেন।

কিন্তু, জেনে রাখা দরকার আই এন এক্স দুর্নীতি মামলায় পি চিদাম্বরম এবং তাঁর পুত্র কার্তি হলো প্রধান অভিযুক্ত। পিটার এবং ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের (শিনা বরা খুনের মামলায় বিচারাধীন দুজনেই এখন জেলে) মালিকানাধীন আইএনএক্স মিডিয়া ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ড (এফ আইপিবি) এর মাধ্যমে মরিসাসের দুই নাগরিকের থেকে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রস্তাব পায়। সেক্ষেত্রে, ৪ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু, আইএনএক্সের-ই অন্য একটি সংস্থা আইএনএক্স নিউজ প্রাইভেট লিমিটেড কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এফডিআই-এর মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ টানার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

কিন্তু,অভিযোগ, নির্দেশের তোয়াক্কা না করে আইএনএক্স বিদেশি সংস্থার থেকে বিনিয়োগ গ্রহণ করে এবং তাদের শেয়ারও বিক্রি করে। বিষয়টি নিয়ে মামলা করে সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ই ডি। ২০০৭ সালে চিদম্বরাম ছিলেন ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী। অভিযোগ, সেই সময় ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন বোর্ডের-এর মাথায় বসে তিনি আইএনএক্স-কে বেআইনি কাজকর্ম করতে দেখেছেন। কোনও ব্যবস্থা নেন নি। আইএনএক্স এর অন্যতম মালিক ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় সিবিআই-এর জেরার মুখে বলেছিলেন , ২০০৮ সালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তিনি আইএনএক্স মিডিয়ার জন্য সেরা ‘ডিল’ করতে পেরেছিলেন। সিবিআই মূল অভিযোগ ছিল, আইএনএক্সের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারতেন চিদাম্বরম। কিন্তু, তিনি তা করেন নি। বরং, এফডিআই-এর জন্য পুনরায় আবেদন করতে বলেন।

অভিযোগ, চিদম্বরাম পুত্র কার্তি পুরো বিষয়টি নিয়ে আইএনএক্স-কে সাহায্য করেন। তিনি অর্থমন্ত্রক এবং আইএনএক্স-এর মধ্যে মিডিয়েটরের ভূমিকা পালন করতে থাকেন। কার্তির কোম্পানি, চেস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডে গিয়ে ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় সাহায্য চান। তদন্তের পর সিবিআই-এর দাবি, ইন্দ্রানী কার্টিকে এক মিলিয়ন ডলার দেবেন বলে চুক্তি করেছেন। একটি কোম্পানির নামে কয়েক লক্ষ টাকার চেকও পাওয়া যায়। অভিযোগ, ওই কোম্পানির মালিক কার্তি না হলেও তিনি ওই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। সিবিআই-এর বিস্ফোরক অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। এজেন্সি জানায়, পুরো লেনদেনে তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী চিদম্বরাম কেও ‘পার্টি’ করা হয়। তবে, অভিযোগ প্রমান সাপেক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =