নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট ক্ষমতা দেখিয়েছে। উদ্ভব ঠাকরের পুত্র আদিত্য তরুণ জনতার কাছে ‘আইকন’ হিসাবে দেখা দিয়েছেন। শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীত্ব চাইতে পারে। আবার অন্যদিকে, হরিয়ানায় ৩১ বছরের দুষ্মন্ত চৌতালা কংগ্রেস-বিজেপি, এমনকি নিজের পারিবারিক দল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোক দলকেও চমকে দিয়েছেন। তিনিই কি কিংমেকার হবেন? নাকি নতুন মুখ্যমন্ত্রী? উত্তরের অপেক্ষা করছে দেশ। তবে যা সাফ হয়ে গিয়েছে তা হলো, বিজেপি কিছুটা হলেও হতচকিত। প্রত্যাশিত ফলাফল হয়নি, তা জলের মত পরিষ্কার।
সংবাদমাধ্যমের জনমত সমীক্ষা আংশিক অনুমান করতে পেরেছে, কিন্তু, বিজেপি-কংগ্রেসের রথী; মহারথীদের ছেড়ে আদিত্য ঠাকরে-দুষ্মন্ত চৌতালারাই এই ভোটের হিরো হয়ে দেখা দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বলছে মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনার জয়ের পতাকা উড়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের মইধ্যে ২৪০ টি-তেই এগিয়েছিল বিজেপি। সেদিক থেকে সেনা ছিল কিছুটা কোণঠাসা। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা ভোটের ফলাফল স্বস্তি দেয়নি বিজেপিকে। গেরুয়া শিবির আশা করেছিল ২০০ আসন। কিন্তু থেমে যেতে হয়েছে ১০৫ টিতেই।
মহারাষ্ট্রে মত আসন ২৮৮টি। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ১৪৫টি আসনে। সুতরাং, শিবসেনা ছাড়া কার্যত গতিহীন হইয়ে পড়েছে বিজেপি। ঠিক এই সময়, উদ্ভব ঠাকরে আবার মুখ্যমন্ত্রীত্বের প্রশ্নে সরব হয়েছেন। অন্তত আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রীত্ব চাইছে সেনা।
হরিয়ানার চিত্রটা কিছুটা আলাদা। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ধরাশায়ী হলেও হরিয়ানায় কিন্তু লড়াইয়ে ছিল। বিজেপি ৪০টি আসনে থেকে গিয়েছে। কংগ্রেস ৩১টিতে। সেক্ষেত্রে জননায়ক জনতা পার্টি ১০টি আসন পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীত্ব দাবি করেছে। পার্টির মাথা দুষ্মন্ত চৌতালা ওম প্রকাশ চৌতালার নাতি। যেখানে দাদুর পার্টি অকালি দলের সঙ্গে জোট করে ১টি আসন পেয়ে নির্বাচনে ধরাশায়ী, সেখানে হীরার মতো জ্বলজ্বল করছে দুষ্মন্তের উপস্থিতি।
মহারাষ্ট্র-হরিয়ানার নির্বাচনে বিজেপির দাদাগিরি কী দেখা গিয়েছে? ভোট বিশেষজ্ঞদের উত্তর – না। কংগ্রেসের উপর মানুষের ভরসা কী ফিরে এসেছে? উত্তর – না। বরং দেশের দুই বড় রাজনৈতিক শক্তি সাফল্য দাবি করতে পারে নি। এই ম্যাচের দুই ‘মেন অফ ডা ম্যাচ’ – আদিত্য ঠাকরে এবং দুষ্মন্ত চৌতালা।