নয়াদিল্লি: ঝড়ের তাণ্ডব আপাতত জারি থাকবে ক্রান্তীয় উপকূলে৷ একদিকে যখন আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’ ২০০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসাছে৷ ভারতের পশ্চিম উপকূলের দুই প্রদেশ কর্ণাটক ও গোয়ায় যখন রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে৷ অন্যদিকে তখনই পূর্বদিক থেকে আরও এক ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর৷
এই মুহূর্তে ফিলিপাইনের উপকূলে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ ফিলিপাইন সাগরে ঘনীভূত হচ্ছে এই ঘূর্ণিঝড়৷ আগামী ১-৩ নভেম্বর থাইল্যান্ডের উপকূলবর্তি সমুদ্র হয়ে এই ঘূর্ণিঝড় মিয়ানমারের উপকূলে আছড়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷ আর আগামী ৬ থেকে ৭ নভেম্বরের মধ্যে সেটি আন্দামান সাগর হয়ে ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পৌঁছাতে পারে৷ এটাই হবে এবছরে বঙ্গোপসাগরে প্রথম ঘূর্ণিঝড়৷
পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ নিয়ে তেমন কোনো চিন্তার কারণ নেই বলে আবহবিদরা আপাতত আস্বস্ত করলেও, আগামীদিনে এই ঝড় কতটা প্রভাব ফেলবে বা আদৌ কোনও প্রভাব ফেলবে কি না সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের জন্য দক্ষিণবঙ্গে সামান্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস৷
তবে এখানেই শেষ নয়৷ এই বছরের শেষ পর্যন্ত সাগরের বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে আরও কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়৷ সেগুলি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম নিয়ে হাজির হবে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরের উপর৷ এই তালিকায় রয়েছে গাজা, পবন, ফেথাই, আমফেন নামক ট্রপিকাল সাইক্লোনগুলি৷ আবহবিদরা জানাচ্ছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রপিক্যাল সাইক্লোন তৈরি হয় সাগরে৷ তাই এগুলো বছরের শেষ পর্যন্ত চলতেই পারে৷ কিন্তু বছরের শেষে এখনও এতগুলো সাইক্লোনের পূর্বাভাস৷ কে কতটা বড় আকারে কোথায় আছড়ে পড়তে চলেছে সেটাই এখন সাধারণ মানুষের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে৷