কেমন আছে জম্মু-কাশ্মীর? জানতে ভূস্বর্গ সফরে ইউরোপিয় ইউনিয়ন

নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর এই প্রথম ইউরোপিয় ইউনিয়ন সদস্যদের ভূস্বর্গে যাওয়ার অনুমতি দিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পর আজ ইউরোপিয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সদস্য ভূস্বর্গে যান৷ সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷ অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত সরকার যা বলেছে, তার সঙ্গে আসল পরিস্থিতি আলাদা৷ তাই অবিলম্বে

কেমন আছে জম্মু-কাশ্মীর? জানতে ভূস্বর্গ সফরে ইউরোপিয় ইউনিয়ন

নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ হওয়ার পর এই প্রথম ইউরোপিয় ইউনিয়ন সদস্যদের ভূস্বর্গে যাওয়ার অনুমতি দিল কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের ছাড়পত্র মেলার পর আজ ইউরোপিয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সদস্য ভূস্বর্গে যান৷ সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন তাঁরা৷

অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে ভারত সরকার যা বলেছে, তার সঙ্গে আসল পরিস্থিতি আলাদা৷ তাই অবিলম্বে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রতিনিধি ও মার্কিন সেনেটের প্রতিনিধিদের কাশ্মীরে গিয়ে সেখানকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখার জন্য ভারত সরকার যেন অনুমতি দেয়, এই ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ইউএস হর্ষবর্ধনকে চিঠি দিয়েছে মার্কিন সেনেটের ৬ গুরুত্বপূর্ণ সংসদ৷

তাদের এই চিঠির মূল বক্তব্য, ভারত সরকার বিভিন্ন সময়ে তাদের বিবৃতিতে যে সমস্ত ছবি কাশ্মীরের বলে প্রচার করছে তা আসল ছবি নয়৷ কাশ্মীরে আসলে ছবি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে সম্পূর্ণ অন্য৷ সেইসঙ্গে মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যদের এই চিঠিতে কার্যত ভারত সরকারের কাছে কাশ্মীরিদের বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকারের কাছে একরকম জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে৷ সঙ্গে কাশ্মীরের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের কেন গৃহবন্দি করে রেখেছে, তার কারণ জানিতে চাওয়া হয়েছে৷ অবিলম্বে তাঁদের মুক্তির দাবি তুলেছে তারা৷

চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা উল্লেখ করেছেন, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া নিযুক্ত মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট কাশ্মীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে যে রিপোর্ট দিয়েছেন ও বিদেশি বহু সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে কাজ করতে বা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন, তাও তারা জানতে পেরেছেন৷ ফলে বিশেষ করে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে তাঁদের যেভাবে সংবাদ সংগ্রহ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, তা উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন সংসদের তরফে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 4 =