অনলাইনে ভোটার তথ্য সংশোধনে সমস্যা? বিপদ এড়াতে কী কবেন?

কলকাতা: এবারই প্রথম দেশজুড়ে অনলাইনে ভোটার তালিকা যাচাই ও সংশোধনের ব্যবস্থা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন৷ স্মার্টফোনে ‘ভোটার হেল্পলাইন’ অ্যাপ ডাউনলোড করে বা কমিশনের ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে এই কাজ করা যাচ্ছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে নাগরিকদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ বহু সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা হল, অনলাইনে ভোটার তালিকায় নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের

অনলাইনে ভোটার তথ্য সংশোধনে সমস্যা? বিপদ এড়াতে কী কবেন?

কলকাতা: এবারই প্রথম দেশজুড়ে অনলাইনে ভোটার তালিকা যাচাই ও সংশোধনের ব্যবস্থা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন৷ স্মার্টফোনে ‘ভোটার হেল্পলাইন’ অ্যাপ ডাউনলোড করে বা কমিশনের ন্যাশনাল ভোটার সার্ভিস পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করে এই কাজ করা যাচ্ছে৷ কিন্তু এক্ষেত্রে নাগরিকদের একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

বহু সাধারণ মানুষের অভিজ্ঞতা হল, অনলাইনে ভোটার তালিকায় নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম যাচাইয়ের প্রক্রিয়াটি করা যাচ্ছে৷ কিন্তু সংশোধন ও অভিযোগ জানানোর আবেদন করলেও তা এখনও বিশেষ কাযর্কর হয়নি৷ অনলাইনে সংশোধনীর জন্য বা অন্য কোনও অভিযোগ জানালেই সঙ্গে সঙ্গে একটি রেফারেন্স আইডি নম্বর নথিভুক্ত মোবাইলে এসএমএস করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়টি কোন পর্যায়ে আছে, তা অনলাইনে ওই আইডি নম্বর থেকে জানতে পারার কথা৷ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে এতেও কোনও কাজ হচ্ছে না৷

কোনও ভোটার নথি সহ কোনও সংশোধনীর জন্য অনলাইনে আবেদন করলে সেব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বুথ লেভেল আধিকারিককে ব্যবস্থা নিতে হবে৷ নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইনে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে বা আবেদনকারীর বাড়ি গিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে আধিকারিককে৷ কিন্তু বুথ লেভেল অফিসাররা এখনও সেভাবে বাড়ি গিয়ে এই কাজ করছেন না বলে অভিযোগ৷ কিছু ক্ষেত্রে ভোটারের নির্দিষ্ট বুথের উল্লেখ করে আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে৷ কোনও কোনও ভোটারের অভিজ্ঞতা হল, বুথে গেলে বলা হচ্ছে অনলাইনের বদলে অফলাইনে ফর্ম জমা দিয়ে সংশোধনীর কাজটি করে নিন৷ ২৫ নভেম্বর থেকে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে৷ তখনই এটা করে নেওয়া যাবে৷

ইতিমধ্যেই,অনলাইনে ভোটার তালিকা যাচাই বা ভেরিফিকেশনের সময়সীমা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ কমিশনের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, অনলাইনে যাচাইয়ের কাজ খুব মন্থর গতিতে এগচ্ছে৷ কাজ এখনও অনেক বাকি৷ ভোটার তালিকায় সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজনের জন্য অসংখ্য আবেদন জমা পড়েছে৷ কিন্তু বহু আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি৷ এই কারণে সময়সীমা বাড়াতে হয়েছে৷ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার আগেই সংশোধন সংক্রান্ত সব কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী দিল্লি ছাড়া দেশের বাকি রাজ্যগুলির খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৫ নভেম্বর তারিখে৷ ওই দিন থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম অর্ন্তভুক্তি, নাম বাদ দেওয়া সহ বিভিন্ন সংশোধনীর জন্য আবেদন করা যাবে৷ এই সময়ে নিজের এলাকার বুথে গিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে এই কাজ করা যাবে৷ যে সব আবেদন ওই সময়ের মধ্যে জমা পড়বে, সেগুলি ১০ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে৷ তারপর ২০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে৷ দিল্লিতে যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই সেখানকার জন্য আলাদা সময়সূচি করেছে কমিশন৷ অনলাইনে ভোটার তালিকা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া দিল্লিতে ৩১ অক্টোবর শেষ করা হয়েছে৷

ভোটার তালিকায় নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম যাচাই করে তা নথিভুক্ত করার জন্য আধার, রেশন কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ আরও কিছু নথির মধ্যে একটি আপলোড করে দিতে হচ্ছে৷ যদিও ভোটারদের ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক নয়৷ কিন্তু ভোটারদের নিজেদের সুবিধা হবে এই কারণে কমিশন অনলাইনে যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + 15 =