অবশেষে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা, রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি

কলকাতা: অবশেষে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ লাগাতার ৪০ দিনের শুনানি শেষে ১৩৪ বছরের পুরানো বিতর্কের সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের৷ এদিন রায়ের পড়ে শোনান পাঁচ বিচারপতি সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ সেখানে সম্মতির ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল তাতে কিছু যায় আসে না৷ কারও ধর্মীয় অধিকার

অবশেষে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা, রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি

কলকাতা: অবশেষে অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত৷ লাগাতার ৪০ দিনের শুনানি শেষে ১৩৪ বছরের পুরানো বিতর্কের সর্বসম্মতিক্রমে রায় ঘোষণা সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের৷

এদিন রায়ের পড়ে শোনান পাঁচ বিচারপতি সাংবিধানিক বেঞ্চ৷ সেখানে সম্মতির ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কবে মসজিদ তৈরি হয়েছিল তাতে কিছু যায় আসে না৷ কারও ধর্মীয় অধিকার হরণ করা না হয়৷ আমরা কারও ধর্মীয় অধিকার খর্ব করতে পারি না৷ এদিন মামলার শুনানিতে নির্মোহী আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি সুপ্রিম কোর্টের৷ একই সঙ্গে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তথ্যের ভিত্তিতে নির্মোহী আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের খারিজ করে দেওয়া হয়৷ এখনও রায় পুরোপুরি ঘোষণা হয়নি৷

টানা ৪০ দিন ধরে চলা গুরুত্বপূর্ণ সওয়াল-জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণা দেশের শীর্ষ আদালতের সাংবিধানিক বেঞ্চের৷ আজ সকালে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করে৷ সুপ্রিম কোর্টের এক নম্বর ঘরে হয় রায়দান৷ শুধুমাত্র এই মামলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷ আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি শরদ আরবিন্দ বোবদে, বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি আব্দুল নাজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করে৷ এই মামলার প্রধান তিন পক্ষ৷ নির্মোহী আখড়া, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, রামলালা৷ আগামী ১৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি অবসর নেবেন৷ তার আগে এই রায় ঘোষণা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷

অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি! রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করে থাকেন৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পোড়ে ভারতের৷ ১৯৯২ সালের দাঙ্গার বলি হন অন্তত দু’হাজার মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ অন্য একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া৷ তৃতীয় ভাগটি রাম লাল্লার জন্য বরাদ্দ হবে৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা দায়ের হয়৷ অবশেষে সেই বিতর্কের অবসান৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *