পাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, কী আছে তাতে?

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের জন্য সম্মত্তি দিল লোকসভা৷ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৩টি৷ বিপক্ষে ৮২টি ভোট৷ ফলে, বিলটি এখন লোকসভায় আলোচনা হবে৷ আইনে কার্যকর হতে লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে হবে৷ তারপর স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি৷ আজ সোমবার তুমুল বিতর্ক হট্টগোল, বাদানুবাদের মধ্যে দিয়ে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ বিলটি পেশ করে অমিত শাহ৷ বিলের

পাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, কী আছে তাতে?

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশের জন্য সম্মত্তি দিল লোকসভা৷ বিলের পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৩টি৷ বিপক্ষে ৮২টি ভোট৷ ফলে, বিলটি এখন লোকসভায় আলোচনা হবে৷ আইনে কার্যকর হতে লোকসভা ও রাজ্যসভার অনুমোদন পেতে হবে৷ তারপর স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি৷

আজ সোমবার তুমুল বিতর্ক হট্টগোল, বাদানুবাদের মধ্যে দিয়ে লোকসভায় পাস নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ বিলটি পেশ করে অমিত শাহ৷ বিলের বিরোধিতা একযোগে মাঠে নামেন বিরোধী দলের সংসদরা৷ কিন্তু, জানেন কি, কী আছেএই বিলে?

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অন্যতম বিষয় সময়৷ একটা প্রশ্ন ছিল, কতটা সময় এক টানা কোনও শরণার্থী ভারতে থাকলে নাগরিক হতে পারবেন৷ বিলে সেই সময়টা ছিল ৬ বছর৷ কিন্তু, যা শোনা যাচ্ছে, পাঁচ বছর কোনও শরণার্থী ভারতে টানা থাকলেই তিনি হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টান হলেই নাগরিকত্ব পাবেন৷

তবে, এই বিল আইন হিসাবে এলে সব থেকে বড় সমস্যা হতে পারে তা হল, অমুসলমান শরণার্থীরা ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পাবেন৷ কিন্তু, কোনও মুসলমান যদি নিজেকে হিন্দু, জৈন বা পার্শী হিসাবে দাবি করেন, তবে তখন সরকার কি করবে৷ নয়া এই ব্যবস্থায় কি বাড়বে ধর্মান্তরের হিড়িক? উঠছে প্রশ্ন৷

যা শোনা কাছে, তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে৷ এই বিল (যা সংসদের দুটি কক্ষেই আলোচনা হবে) খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাংলায় এন আর সি – হবে কিনা এবং হলে তা কীভাবে হবে, তা এই বিলের উপর নির্ভর করছে৷ কারণ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় বলে গিয়েছেন প্রথমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন হিসাবে পাশ হবে৷ তারপর এন আর সি হবে৷

ইতিমধ্যে এন আর সি-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বাংলায় এন আর সি হবে দ্বিতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম হবে, জানিয়েছেন মমতা৷ সেক্ষেত্রে, সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট বিল বা সিএবি বা নাগরিকত্ব বিল বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ৷

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে কী? যদি দিতেই হয়, তবে কেউ যদি বলেন, তিনি ধর্ম মানেন না, বা নাস্তিক তাঁর ক্ষেত্রে কি হবে? আবার, কেউ যদি মুসলমান হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে হিন্দু বলে দাবি করেন, তাহলেই বা দরকারের কী উত্তর হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে৷

মূল প্রশ্ন, এই বিল কী তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধিতা করবে? উত্তর, হ্যাঁ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রধান তিনি মানেন না৷ তবে, তিনি এও বলেছেন, যদি সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, তিনি তবে ওই বিল সমর্থম করতে পারেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − six =