নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় ইস্তফা পুলিশ আধিকারিকের

মুম্বই: দেশব্যাপী তীব্র বিরোধিতা, জনরোষ, বিরোধী দলগুলির অসম্মতি সত্ত্বেও অবশেষে বুধবার সংসদের দুই কক্ষেই (মঙ্গলবার ৩১১-৮০ভোটে লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় ১২৫-১০৫ ভোটে) পাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ এরপরই বিলের বিরোধিতা করে ‘আইন অমান্য’ আইনে বৃহস্পতিবার থেকে আর অফিসে যাবেন না বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক আবদুর রহমান৷ রহমান মহারাষ্ট্র রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে পুলিশের

নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় ইস্তফা পুলিশ আধিকারিকের

মুম্বই: দেশব্যাপী তীব্র বিরোধিতা, জনরোষ, বিরোধী দলগুলির অসম্মতি সত্ত্বেও অবশেষে বুধবার সংসদের দুই কক্ষেই (মঙ্গলবার ৩১১-৮০ভোটে লোকসভায় এবং বুধবার রাজ্যসভায় ১২৫-১০৫ ভোটে) পাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল৷ এরপরই বিলের বিরোধিতা করে ‘আইন অমান্য’ আইনে বৃহস্পতিবার থেকে আর অফিসে যাবেন না বলে জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক আবদুর রহমান৷ রহমান মহারাষ্ট্র রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে পুলিশের বিশেষ মহাপরিদর্শক হিসাবে পদে রয়েছেন৷

টুইট বার্তায় রহমান লিখেছেন, বিলটি সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যের পরিপন্থী৷ মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরে চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘অবশেষে আমি এই চাকরিটি ছেড়ে দিচ্ছি৷’’

তার চিঠিতে রহমান লিখেছেন যে তিনি ১ আগস্ট স্বেচ্ছাবসর গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তবে ২৫ অক্টোবর তারিখে তাকে একটি চিঠিতে বলা হয়েছিল যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই আবেদন গ্রহণ করেনি৷ পুলিশ আধিকারিকের দাবি যে আবেদনটি তাড়াহুড়ো করে, স্পষ্টতই বৈষম্য মূলক ও অন্যায়ভাবে এবং কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অধিকার এবং বিবেচনার অপব্যবহার করে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে কারণ তার বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় তদন্ত নেই৷

নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতায় ইস্তফা পুলিশ আধিকারিকের

রহমান আরও বলেন যে তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান আইন ও পরিষেবা বিধির পরিপন্থি দাবি করে মুম্বাইয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসন ট্রাইব্যুনালের সামনে তিনি এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, এর পরে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নোটিশ জারি করা হয়েছিল৷

অফিস বয়কটের কার্যত প্রসঙ্গে রহমান বলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে তার আবেদনের সত্যতা এবং পরিস্থিতি যদি শিক্ষিত ট্রাইব্যুনাল কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তবে সম্ভবত তিনি স্বেচ্ছাবসর পাবেন৷ তবে এই পরিস্থিতিতে এবং তার ব্যক্তিগত কারণে তিনি ১২ ডিসেম্বর থেকে আর অফিসে যেতে পারবেন না৷ তবে তার স্বেচ্ছাবসর না দেওয়া হলে ওই বেদনকেই যেন তার ইস্তফা বলে গণ্য করা হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *