নয়াদিল্লি: ২০১২ থেকে ২০১৯। নির্ভয়া থেকে ডা. প্রিয়া (নাম পরিবর্তীত)। একই সঙ্গে মনে করতে পারেন কামদুনির সেই নির্যাতিতাকে। তরুণীর গণধর্ষণ এবং নৃশংস খুনের ঘটনা এই দশকে রক্তাক্ত ছাপ দিয়ে গিয়েছে। প্রমাণ করেছে, এই সমাজের স্তরে স্তরে অন্ধকার রয়েছে। মুক্তি পেতে যেতে হবে আরও অনেক দশক। তবে স্বস্তি এই যে, এই চরম পেশাদারিত্বের যুগেও মানুষ প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেনি। ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের সেই ভয়ঙ্কর রাতের পর সারা দেশ গর্জে উঠেছিল। ২০১৯ সালেও অন্যথা হয়নি।
নিৰ্ভয়া থেকে প্রিয়া- এই দুর্ভাগা দেশে যে নারী-পুরুষ কেউ নিরাপদ নয় তা বারবার প্রমাণিত। গত সাত বছরে দেশে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। রাজ্যে রাজ্যে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। কিন্তু, নাগরিক নিরাপত্তার চিত্রটি পরিবর্তিত হয়নি। হায়দরাবাদের তরুণীর ধর্ষকদের 'এনকাউনকার' করে স্থানীয় সরকার বাহবা কুড়িয়েছে। কিন্তু, নাগরিক নিরাপত্তার বিষয়টি অমীমাংসিত থেকেছে।
২০১২ সালের পর থেকেই মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন কঠোরতর করা হয়েছে। হেল্পলাইন এবং তহবিল তৈরি হয়েছে। কিন্তু, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মোদী সরকার কি করল? নারী নিরাপত্তায় যা প্রতিশ্রুতি তারা দিয়েছিল তা কী পূরণ করা হয়েছে। নাকি সবই ছিল নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। আজ এদেশে ধর্ষিতার বাবাকে নিখোঁজের ডাইরি করতে থানা কে থানা ঘুরতে হয়।