নয়াদিল্লি: নয়া সেনাপ্রধান হিসেবে এমএম নারবানে বুধবার নিজের পদে যোগ দিয়েই হুংকার দিতে শুরু করলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এমনিতে কথায় কথায় প্রতিবেশী এই দেশটির প্রতি বিদ্বেষ পোষণ না- করলে আমাদের ভাত হজম হয় না। সে সেনাপ্রধানই হোন, কী মিডিয়া। এই পরিস্থিতিতে পাক-বিদ্বেষ খুবই স্বাভাবিক নয়া সেনাপ্রধানের কাছে। কিন্তু সেই কারণেই কি পাক-বিরোধী হুমকি, জঙ্গিঘাঁটির গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা? নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও অভিসন্ধি? ওপারে যে জঙ্গি ঘাঁটি রয়েছে সে কথা তো নতুন কিছু নয় । তবুও দেশের নয়া সেনা প্রধানের মুখ থেকে সে কথা আরও একবার শোনার জোশই আলাদা।
তবে শুধুই কি জোশ? এমনটাও শোনা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষায় নাকি বিশ্বের অন্যতম সেরা হতে চলেছে আমাদের দেশ। যদিও এ খবরে আহ্লাদে আটখানা না-হয়ে নেটিজেনরা অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন, অন্যদিকে আসমু্দ্রহিমাচল বেকারির দুর্দশা থেকে নজর ঘোরাতেই কি এমন সব কথা শোনা যাচ্ছে চারপাশে?
যদিও কেউ বলবেন, সরকার তো আর মুখ খোলেনি, যা বলেছেন সেনা প্রধান বলেছেন। কিন্তু ক-দিন আগে যেভাবে নাগরিকত্ব আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত, তাতে করে তাঁর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, কার্যত মোদি-অমিত শাহের মুখপাত্রের মতো মন্তব্য করছেন রাওয়াত। তাই এদিন যখন নতুন সেনাপ্রধানের মুখে শোনা গেল, কাশ্মীরের পরিস্থিতি উন্নত হয়েছে, তখন আরও বেশি করে মনে হতে লাগল, নজর ঘোরানোর উদ্যোগ কি শুরু হয়ে গিয়েছে তাহলে?