নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার দায় স্বীকার করল হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু রক্ষা দল৷ ‘ভারতমাতা’র অসম্মান হলে এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনের সদস্যরা৷
সোমবার রাতে এক বিবৃতি প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, ৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁদের সংগঠনের সদস্যরা ঢুকে তাণ্ডব চালায়৷ সেখানেই ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালানো হয়৷ আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে৷ নেটিজেনদের অনেকেই এভাবে দায় স্বীকারের ঘটনাকে নির্লজ্জ, বর্বরোচিত বলে ব্যাখ্যা করেছেন৷ এমনকি তাঁদের এই মনোভাবকে অনেকেই জঙ্গি সংগঠনগুলির দায় স্বীকারের মতো বলছেন৷
সংগঠনের অন্যতম সদস্য পিঙ্কি চৌধুরি এক ভিডিওতে দাবি করেছেন, এই হামলা একেবারেই পরিকল্পনামাফিক৷ ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালানো হয়েছে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর৷ কারণ তাঁরা ক্যাম্পাসে দেশদ্রোহী এবং অ-হিন্দুত্ববাদী ভাবধারা পোষণ করেন৷ পিঙ্কির আরো দাবি, জেএনইউ ক্যাম্পাসে মার্ক্সবাদী কার্যকলাপ চালানো হয়৷ আর তাই তাঁরা আমাদের দেশ এবং ধর্মকে অসম্মান করে৷ যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবার না৷ তবে পিঙ্কির বক্তব্য এখানেই শেষ হয়নি৷ হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর জোর নজরদারি চালানো হচ্ছে৷ যেখানে এই ধরণের মার্ক্সবাদী কার্যকলাপ চালানো হবে, যেখানে দেশবিরোধী কাজ চলবে, ভারতমাতার অপমান হবে, সেখানেই দায়িত্ব নিয়ে আমরা হামলা করব৷’’
পিঙ্কির মুখে এদিন আরও এক ভারত ভক্তের নাম উঠে এসেছে৷ তিনি ভূপেন্দ্র তোমর৷ তিনিও যে প্রয়োজনে দায়িত্ব নিয়ে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর, তা জানাতে ভোলেননি পিঙ্কি৷ এদিন রাতে ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে অনেকের আশা প্রকাশ করেছেন৷ যদিও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি দিল্লি পুলিশ৷
This gunda from the Hindu Rashtra Dal proudly claims that he was behind the brutal attack by masked goons on JNU students & teachers. Yet @DelhiPolice does not arrest him. Is anyone still in doubt of who were the attackers & their patrons in Police & govt? https://t.co/BhYbeijG10
— Prashant Bhushan (@pbhushan1) January 7, 2020