নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্তির ঘটনায় বাম ছাত্র সংগঠনের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল দিল্লি পুলিশ৷ আজ বিকালে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের তরফে ক্যাম্পাসে অশান্তির ঘটনায় ৯ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করে তাঁদের ছবি প্রকাশ করে৷ পুলিশের প্রকাশ করা সন্দেহভাজনদের তালিকায় রয়েছেন বাংলায় মেয়ে ঐশী ঘোষ-সহ ৯ বামপন্থী পডুয়ার নাম৷ পুলিশের দাবি প্রসঙ্গে চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বাম ছাত্র সংগঠন৷
জেএনইউ-কাণ্ডে সিটের প্রধান জয় তিরকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগে থেকেই অশান্তি চলছিল ক্যাম্পাসের মধ্যে৷ জেএনইউ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে৷ ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে৷ তবে, ছাত্রী হোস্টেলের মধ্যে মুখোশধারীদের তাণ্ডবের সময় কোনও ভিডিও বা সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায়নি পুলিশ৷ ফলে, হামলাকারীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবি পুলিশের৷ হামলাকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ না করে তার আগের গোলমালের ঘটনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷
দিল্লি পুলিশের সিটের প্রধান জয় তিরকের আরও দাবি, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগেই বিতর্ক ছিল৷ ৩ জানুয়ারি বাম যুব ছাত্র সংগঠন ঝামেলা করে৷ ৪ তারিখ তারাই সার্ভাররুম ভাঙচুর করে৷ ওই দিন ৪টি বাম ছাত্র সংগঠন প্রথম জমায়েত করে৷ ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে জমায়েত হয়৷ ৪ জানুয়ারি চারটি সংগঠনের সদস্যদের গোলমাল করে সার্ভাররুমে ঢুকে ভাঙচুর করে৷ পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়৷ এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ পুলিশের অভিযোগ দায়ের৷
বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশের দাবি, ক্যাম্পাসে হামলায় উস্কানি দেওয়া দিয়েছে ন’জন পড়ুয়া৷ চিহ্নিতকারীদের পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে৷ দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রনধাওয়া জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে শান্তি বৈঠক চলাকালীন মুখোশধারীদের হামলা চালিয়েছে৷ মুখোশধারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে৷ অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে বহিরাগতরা৷ কিন্তু, কেন বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ জনকে চিহ্নিত করা হল? পুলিশের জবাব, বাম ছাত্র সংগঠন অশান্তি উস্কে দিয়েছে৷