JNU-কাণ্ডে নয়া মোড়, চিহ্নিত ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী, জেরা ঐশীকে

জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ঘটনার ছ’দিন পর অবশেষে ছাত্রী হোস্টেলে হামলার ঘটনায় ৩৭ জন মুখোশধারীকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ৷ মুখোশধারীদের মধ্যে ১০ জন বহিরাগত বলেও দাবি পুলিশের৷ মুখোশধারীদের সঙ্গে হামলা চালিয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ, দাবি পুলিশের৷ এবিষয়ে ঐশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুলিশের৷

নয়াদিল্লি: জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় হোস্টেলে হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ ঘটনার ছ’দিন পর অবশেষে ছাত্রী হোস্টেলে হামলার ঘটনায় ৩৭ জন মুখোশধারীকে চিহ্নিত করেছে দিল্লি পুলিশ৷ মুখোশধারীদের মধ্যে ১০ জন বহিরাগত বলেও দাবি পুলিশের৷ মুখোশধারীদের সঙ্গে হামলা চালিয়েছে বাংলার মেয়ে ঐশী ঘোষ, দাবি পুলিশের৷ এবিষয়ে ঐশীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা রয়েছে পুলিশের৷

ছাত্রী হোস্টেলে হামলার ঘটনায় ৩৭ জনকে চিহ্নিত করা গেলেও তাদের নাম-পরিচয় এখনও জানতে পারিনি পুলিশ৷ ছাত্রী-অধ্যাপিকাদের উপর ঘটনার ঘটনায় এখনও  কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ৷ পুলিশের দাবি, ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ওই হামলাকারীদের সঙ্গে ছিলেন৷ পড়ে জখম অবস্থায় সামনে আসেন৷ পুলিশ ফরেনসিক পরীক্ষা করে বিষয়েটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে৷ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে দিল্লি পুলিশের তরফে জাননানো হয়, হোস্টেলে হামলার দিন কোনও সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায়নি পুলিশ৷ সেই কারণে তদন্ত প্রক্রিয়া একটু দেরিতে চলছে৷

জেএনইউ-কাণ্ডে সিটের প্রধান জয় তিরকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগে থেকেই অশান্তি চলছিল ক্যাম্পাসের মধ্যে৷ জেএনইউ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে৷ ভুল তথ্য দেয়া হচ্ছে৷ তবে, ছাত্রী হোস্টেলের মধ্যে মুখোশধারীদের তাণ্ডবের সময় কোনও ভিডিও বা সিসিটিভি ফুটেজ হাতে পায়নি পুলিশ৷ ফলে, হামলাকারীদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও দাবি পুলিশের৷ হামলাকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ না করে তার আগের গোলমালের ঘটনায় নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷  

দিল্লি পুলিশের সিটের প্রধান জয় তিরকের আরও দাবি, অনলাইন রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগেই বিতর্ক ছিল৷ ৩ জানুয়ারি বাম যুব ছাত্র সংগঠন ঝামেলা করে৷ ৪ তারিখ তারাই সার্ভাররুম ভাঙচুর করে৷ ওই দিন ৪টি বাম ছাত্র সংগঠন প্রথম জমায়েত করে৷ ঐশী ঘোষের নেতৃত্বে জমায়েত হয়৷ ৪ জানুয়ারি চারটি সংগঠনের সদস্যদের গোলমাল করে সার্ভাররুমে ঢুকে ভাঙচুর করে৷ পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ভাঙচুর করা হয়৷ এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ পুলিশের অভিযোগ দায়ের৷

বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশের দাবি, ক্যাম্পাসে হামলায় উস্কানি দেওয়া দিয়েছে ন’জন পড়ুয়া৷ চিহ্নিতকারীদের পুলিশ নোটিশ পাঠিয়েছে৷ দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র এমএস রনধাওয়া জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে শান্তি বৈঠক চলাকালীন মুখোশধারীদের হামলা চালিয়েছে৷ মুখোশধারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে৷ অতি দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ক্যাম্পাসে হামলা চালিয়ে বহিরাগতরা৷ কিন্তু, কেন বাম ছাত্র সংগঠনের ৯ জনকে চিহ্নিত করা হল? পুলিশের জবাব, বাম ছাত্র সংগঠন অশান্তি উস্কে দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *