ভোপাল: সিএএ নিয়ে ক্রমেই কোনঠাসা হচ্ছে বিজেপি। ঘরে-বাইরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে। এমনিতেই সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সিএএ ও এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। সারা দেশে প্রতিদিন বিক্ষিপ্ত ভাবে মিছিল হচ্ছেই। এরমধ্যেই ভোপালে বিজেপির ঘর ভাঙার খবর পাওয়া গেল। সিএএ আইনের জেরে বিজেপি ছাড়ল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৪৮ জন সদস্য। তাঁরা জানিয়েছেন, সিএএ বিরোধিতা করেই তাঁরা দল ছেড়েছেন। এছাড়া দলের অভ্যন্তরে তাঁরা বৈষ্যমের অভিযোগ এনেছেন বলেও জানা গিয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের সংখ্যালঘু সেলের প্রধানকে চিঠিতে দলত্যাগের বিস্তারিত কারণ লিখেছেন বিক্ষুব্ধরা। তাঁরা চিঠিতে লিখেছেন, প্রতিনিয়ত দলে বৈষম্য বেড়েই চলেছে। দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই বললেই চলে। দলে দুই তিন জন নেতা যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাই সকলকে মেনে চলতে হচ্ছে। এই বিষয়ে দলের অভ্যন্তরে কোনও আলোচনা হয় না বললেই চলে। বিজেপি এই বিষয়টি অস্বীকর করেছে। মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা গোপাল ভার্গভ জানিয়েছেন, আমাদের দলের একাংশকে কংগ্রেস ও বাম ভুল বোঝাচ্ছে।
যদিও অন্যসুর শোনা যাচ্ছে ভোপালের সংখ্যালঘু বিভাগের সহ সভাপতি আদিল খানের গলায়। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আপনারা কখনও দেখেছেন, একটা আইনের বিষয়ে মানুষকে বোঝাতে ঘরে ঘরে যাচ্ছেন প্রশাসন। দলে এক সময়ে শ্যামাপ্রসাদ, অটল বিহারি বাজপেয়ীর আর্দশ মেনে চলত। এখন সেই আদর্শ প্রায় হারিয়ে গিয়েছে। দলের অভ্যন্তরে প্রতি নিয়ত বেড়ে চলেছে বিভেদের রাজনীতি।’
সিএএ নিয়ে দেশের রাজনীতি ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠেছে। বার বার বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সিএএ নাগরি্কত্ব কেড়ে নেবে না। এটা নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। রবিবার বেলুড়মঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিএএয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, দেশের মানুষকে বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়কে ভুল বোঝানো হচ্ছে। এই অবস্থায় যুব সমাজকে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে দেশকে আলো দেখাতে হবে।