ফের সীমান্তে ভারতীয়ের মুণ্ডচ্ছেদ পাক সেনার, বাড়ছে সংঘাত

ফের সীমান্তে ভারতীয়ের মুণ্ডচ্ছেদ পাক সেনার, বাড়ছে সংঘাত

শ্রীনগর:  ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শিরোশ্ছেদের অভিযোগ উঠল। শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের দুই জন মালবাহকের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের একজনের মাথা পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বর্ডার অ্যাকশন টিম বা ব্যাট ওই মালবাহকের শিরোশ্ছেদ করেছে। 
এর আগে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী সেনাবাহিনীর শিরোশ্ছেদ করেছে। কিন্তু কোনও সাধারণ নাগরিকের শিরোশ্ছেদ এই প্রথম পাকিস্তান করল বলে জানা গিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, মহম্মদ আসলামের শরীরের সঙ্গে মাথা ছিল না। শুধু তাই নয়, আসলামের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মৃতদেহগুলো পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতেই তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এখনও হাসপাতালে তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।
গত শুক্রবার প্রতিরক্ষা বিভাগের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পুঞ্জ নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মর্টার ও গুলি ছোড়ে। তাতেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাদের প্রয়োজনীয় সমাগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল শ্রমিকদের একটি দল। সেই দলেই ছিলেন আসলাম ও আফতাফ। তাঁদের লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়া হয়। শনিবার ছিন্ন বিছিন্ন অবস্থায় তাদের দেহ উদ্ধার করা হয়। আসলের দেহের সঙ্গে মুণ্ডু ছিল না। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ মনে করছে, এই ঘটনার নেপথ্যে পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষীরা রয়েছে।
 
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের নতুন সেনা প্রধান।  মনোজ মুকুন্দ নরবণে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কীভাবে এর যোগ্য জবাব সামরিকভাবে দিতে হয়, তা তাঁর ভালোভাবেই জানা আছে। তিনি মন্তব্য করেছেন, কোনও পেশাদার সেনা এই কাজ করতে পারেন না। তবে এই বিষয়ে পাকিস্তানের তরফে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই বিষয়ে নীরব অবস্থান বজায় রেখেছেন। কংগ্রেস ইতিমধ্যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধতে শুরু করেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার এই বর্বরোচিত হামলার জবাব কবে দেবেন? 
অন্য দিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের কংগ্রেসের মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কবে এর উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি মন্তব্য করেছেন, যখম কংগ্রেস হামলা এঅ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, বিজেপি কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করেছিল। মনমোহন সরকারকে অযোগ্য বলেছিল। তবে মোদীর মতো যোগ্য প্রধানমন্ত্রী থাকার পরেও এই ধরণের ঘটনা কেন বার বার ঘটছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *