নয়াদিল্লি: রাজনীতি সম্পর্কে বাবা রামদেবের আগ্রহ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সকলেই জ্ঞাত। 'ধরি মাছ না ছুঁই পানি' প্রবাদ বাক্যটি এক্ষেত্রে যথোপযুক্ত। ২০১০ সালে বাবা রামদেব বলেছিলেন তিনি একটি রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন। শেষমেষ সেই সাফল্য অধরা থাকলেও ২০১৩ থেকে দেশের বর্তমান শাসক দলের প্রতি তাঁর দুর্বলতা সর্বজনবিদিত। তার একাধিক উদাহরণও রেখেছেন তিনি। আর এবার অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে কটাক্ষ করে আরও একবার তার প্রমাণ দিলেন।
যোগগুরু রামদেব বলেন, বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে 'সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিতে সঠিক জ্ঞান প্রদান করতে তাঁর মতো একজন যোগ্য পরামর্শদাতা নিয়োগ করা উচিত। রামদেব এই বক্তব্য ঠিক এমন সময় করলেন, যখন দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্প্রতি হামলার ঘটনার পর সেখানে আক্রান্ত ছাত্রী ঐশীর অবস্থান আন্দোলনে নির্বাক উপস্থিতির ফলে বিজেপির চক্ষুশূল হয়েছেন দিপীকা।
রামদেব সাংবাদিকদের বলেন, যে 'দীপিকার অভিনয়ের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতেই পারে সেটা অন্য বিষয়। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে তাকে দেশ সম্পর্কে আরও পড়তে হবে এবং বুঝতে হবে। এই জ্ঞান অর্জন করার পরেই তার বড় কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, 'আমি মনে করি, দীপিকা পাড়ুকোনকে স্বামী রামদেবের মতো একজন পরামর্শদাতা নিয়োগ করা উচিত, যিনি তাকে এজাতীয় বিষয়ে সঠিক শিক্ষা দিতে পারেন।
এদিন একইসঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) পক্ষে জোরদার সমর্থন করে রামদেব বলেন, “যারা সিএএ-র পুরো ফর্মটি জানেন না তারা আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে আপত্তিজনক শব্দ ব্যবহার করছেন।” যোগগুরু বলেন এই বিরোধিতা করে দেশের মানুষ জিন্না-র মত স্বাধীনতা চাইছে। এপ্রসঙ্গে গান্ধীজী, জহরলাল নেহরুর ভুলের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন বাবা রামদেব।