নয়াদিল্লি: ভারতের বৈদেশিক বিনিয়োগকে সুরক্ষা করার জন্য ভারত সরকার নতুন আইন প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে। ভারত সরকারের শীর্ষস্থানীয় দুই আধিকারিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে এই বিষয়ে জানিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই দুই আধিকারিক জানানিয়েছেন, বিদেশ থেকে আরও পুঁজি আনার লক্ষ্যে ভারত সরকার নতুন একটি আইন নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে। একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, অর্থ মন্ত্রক ইতিমধ্যে ৪০ পৃষ্টার প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছে। ওই খসড়ায় বিনিয়োগকারী ও সরকারের মধ্যে বিরোধ দ্রত নিশ্পত্তির জন্য একজন মধ্যস্থতাকারী নিয়োগ এবং দ্রুত ট্র্যাক আদালত গঠনের প্রস্তাব করেছে বলে জানা গিয়েছে।
ওই আধিকারিক জানিয়েছে, বিদেশী বিনিয়োগকে আকর্ষণ করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের প্রধান দাবি দ্রুত এই চুক্তি বাস্তবায়ন এবং যা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে। খসড়ার প্রস্তাবে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল, তার দূর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নতুন করে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের দুই আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও এই প্রস্তাব বা খসড়া কয়েকটি মন্ত্রকের অনুমোদন পাওয়া প্রয়োজন। তারপরেই এটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে। তবে এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের মুখপাত্র কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে। সরকারি ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চুক্তির ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিনিয়োগকারীরা অনেক সময় ভারতে ব্যবসা করতে এলে আইনি বিপাকে পড়েন। মামলকা মোকদ্দমাতে জড়িয়ে পড়তে হয়। বিনিয়োগকারীরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের মামলা, মোকদ্দমা বা আইনি জটিলতা কমালে তবেই বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠবে। এবং তাঁরাও বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
আগে বিআইটির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন দেশে ব্যবসা করতেন। বিআইটি হল, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি। এই চুক্তির মাধ্যমে কোনও দেশ তাদের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা ও অন্যান্য সুবিধা দেয়। কোনও কারণে দেশের সরকারের সঙ্গে বিরোধ হলে আন্তর্জাতিক সালিশি সভায় আইনি সাফল্য অনে দেয়। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কর না দেওয়া, চুক্তি লঙ্ঘন ছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ভারতই সব থেকে বেশি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারী চাইছে. এই আইনি জটিলতাগুলোর আগে সমাধান হোক, তারপরেই তারা ভারতে ব্যবসা করবে।