নয়াদিল্লি: গত বছর ১৫ জানুয়ারি ধুমধাম করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়িশার বিচ্ছুপল্লি স্টেশনের উদ্বোধন করেছিলেন। সারাদিনে সেই স্টেশনে মাত্র দুই বার ট্রেন দাঁড়ায়। স্টেশনের যাত্রী মাত্র দুই জন। আয় হয় মাত্র ২০ টাকা। তথ্য জানার অধিকার আইন থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে। আর এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই ভারতীয় রেলের দূরদর্শিতা নিয়ে নেটিজেনরা কটাক্ষ করা শুরু করেছেন।
গত বছরের ১৫ জানুয়ারি বিচ্ছুপল্লি স্টেশনের উদ্বোধন হয়। তারপর থেকেই সেখান থেকে ট্রেন চলাচল করে কিন্তু দিন যাওয়ার পর বোঝা যায়, সারাদিনে একটি মাত্র ট্রেন আপ আর ডাউনে একবার করে দাঁড়ায়। বোলাঙ্গির ও বিচ্ছুপল্লির মধ্যে যাতায়াত করা একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। এই বিষয়ে ডিসেম্বরে আরটিআই দাখিল করেন হেমন্ত পণ্ডা। সেই দাখিল করা আরটিআই থেকে জানা যায়, ওই স্টেশন থেকে মাত্র দুজন যাত্রী যাতায়ত করে। যার ফলে স্টেশন থেকে আয় হয় মাত্র ২০ টাকা। তবে এই কারণে রেলের কত টাকা খরচ হয়, সেটা জানানো হয়নি।
জাপানের একটি খবর উঠে এসেছিল। সেখানে দেখা যায়, একটি স্টেশনে মাত্র একজন যাত্রী ওঠা নামা করেন। সিদ্ধান্ত হয়েছিল, ওই স্টেশনটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। কিন্তু দেখা যায় ওই যাত্রী আসলে একজন কলেজ পডুয়া। এরপর জাপানের রেল দপ্তর সিদ্ধান্ত নেন, যতদিন না ওই ছাত্রী গ্র্যাজুয়েট হচ্ছে, ট্রেনটি ওই স্টেশনে দাঁড়াবে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এখানেও কী প্রধানমন্ত্রী ওই দুই যাত্রীর অসুবিধার কথা এক বছর আগে স্টেশনের উদ্বোধন করেছেন। নেটিজেনরা এইভাবেই রেলকে কটাক্ষ করছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, রেল দপ্তর স্টেশন তৈরির আগে সেখানে কত টাকা লাভ হতে পারে, সেই বিষয়ে সমীক্ষা করেনি।বোলাঙ্গির ও বিচ্ছুপল্লি স্টেশনের মধ্যে ১৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন তৈরি করতে ১১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল।
যদিও পূর্ব উপকূলীয় রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জেপি মিশ্র জানান, আগামী বছরই সোনেরপুর স্টেশনের সঙ্গে বোলাঙ্গির-বিচ্ছুপল্লি স্টেশন যুক্ত হবে। তারপরই লাভ করবে রেল। মিশ্রের কথায়, 'যোগাযোগ হল মূল বিষয়। বিচ্ছুপল্লীর মানুষ সম্বলপুর, তিতলাগড় ও ভওয়ান্তিপটনাতে যেতে চান। সোনেপুর ও তিতলাগ়ড়ের মধ্যে রেললাইনের ডবলিংয়ের কাজ শেষ হলেই আমরা আরও যাত্রী পাব।'