নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বের নিরিখে ভারতীয় গণতন্ত্রের সূচর নেমেছে ১১ধাপ৷ প্রশ্নের মুখে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র! আর এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে অপরাধীদের ভোটে টিকিট পাওয়া রুখতে বড় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের৷ নির্বাচন কমিশনকে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ঠেকাতে বড়সড় উদ্যোগ নিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন রুখতে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ অপরাধীদের টিকিট পাওয়া রুখতে এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে৷
এই নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দেওয়া যায় কি না, তা নিশ্চিত করতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ ভোটে দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করা যায় কি না তা নিয়েও পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত৷ এই মর্মে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷
কেননা, দেশের রাজনীতিতে অপরাধী প্রার্থীদের নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি৷ জঙ্গি হামলার মতো গুরুতর অপরাধে যোগ থাকা প্রার্থীরা জনতার ভোটে আজ সাংসদ৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী সাংসদদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে৷
পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভায় ৫৩৯ জন জয়ী প্রার্থীর মধ্যে ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে৷ মোট জয়ী প্রার্থীদের হিসেবে যা প্রায় ৪৩ শতাংশ৷ ২০১৪ সালের তুলনায় এই সংখ্যা বেড়েছে ২৬ শতাংশ৷
এবারের জয়ী প্রার্থীদের মধ্যে বিজেপির ১১৬ জন সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে৷ কংগ্রেসের ২৯ জন, জেডিইউয়ের ১৩ জন, ডিএমকের ১০ জন, তৃণমূলের ৯ জন জয়ী সাংসদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ রয়েছে৷ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেজয়ী সাংসদদের মধ্যে ১৮৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ ও ১১২ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ ছিল৷
ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷