কীভাবে মরবে নির্ভয়ার অত্যাচারীরা? দাঁতে দাঁত চেপে বললেন ফাঁসুড়ে পবন!

কীভাবে মরবে নির্ভয়ার অত্যাচারীরা? দাঁতে দাঁত চেপে বললেন ফাঁসুড়ে পবন!

নয়াদিল্লি: প্রাণভিক্ষার আর্জি জানানোর জন্য নথি দেয়নি তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ৷ এই দাবি তুলে আদালতে গিয়েছিলেন নির্ভয়াকাণ্ডের ৩ দোষী৷ কিন্তু, আজ সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে দিল দিল্লি আদালত৷ ফলে, সমস্ত রস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পয়লা ফেব্রুয়ারি ৪ দোষীর ফাঁসি কার্যন্ত চূড়ান্ত৷ আর সেই দিনটির জন্য দাঁতে দাঁত চেপে অপক্ষা শুরু করে দিয়েছেন বছর ৫৪’র ফাঁসুড়ে  পবন কুমার৷ চার দোষীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে কীভাবে মারা হবে, তারই চূড়ান্ত প্রস্তুতি দিচ্ছেন সহানুভূতিহীন ফাঁসুড়ে পবন৷

কেননা, তাঁকেই দেওয়া হয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার দায়িত্ব৷ তাঁর হাতেই শেষ হবে নির্ভয়ার অত্যাচারীরা৷ মুক্তি পাবে নির্ভয়া পরিবারের দীর্ঘ লড়াই৷ ফাঁসির আগে সেই ফাঁসুড়ে পবন কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, চার দোষীর প্রতি তাঁর ছিটেফোঁটা সহানুভূতি নেই৷ বরং আছে তীব্র ক্ষোভ৷ আর সেই ক্ষোভ থেকেই পয়লা ফেব্রুয়ারির প্রথম সূর্যদয়ের অপেক্ষা করছেন পবন৷ দেশের ইতিহাসে এই প্রথম এক সঙ্গে ৪ জনকে ফাঁসির কাঠে ঝোলানো হবে৷

যার হাতে নির্ভর করছে নির্ভয়ার মুক্তি, সেই ফাঁসুড়ে পবন কে? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, মীরাটের ছোট্টো একটি ফ্ল্যাটে থাকেন ৭ সন্তানের বাবা পবন৷ নিজের ঘরে বসে পবনের মন্তব্য, ওদের হিংস্র পশুর মতো মারা হবে৷ ওরা নিষ্ঠুর৷ ওদের ফাঁসি হওয়া উচিত, যাতে মৃত্যু কি তা তারা অনুভব করতে পারে৷

দুই পুরুষ ধরে ফাঁসুড়ের কাজ করে চলেছে পবনের পরিবার৷ বাবা-দাদুর পর তিনিও ফাঁসুড়ের কাজে নিযুক্ত হয়েছে৷ প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়েছিলেন পবনের দাদু৷ বাবাও দিয়েছেন দু’টি ফাঁসি৷ এবার এই প্রথম এক সঙ্গে চারজনের ফাঁসির হাতলে চাপবেন পবন৷ তবে, তাঁর একটাই আক্ষেপ, ফাঁসি দেওয়ার কাজে সরকার তাঁকে নিয়োগ করলেও মাসে মেলে মাত্র ৫ হাজার টাকা৷ এই টাকায় সংসার চলে না৷ তাঁর আশা, নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি দিতে পারলে দেশ তাঁকে সম্মান জানাবেন৷ আর্থিক টানাটানি মেটাতে যদি তাঁরা সহযোগিতা করে, তাহলে শেষ জীবনটা পরিবারের সঙ্গে ভালো কাটবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × one =