চশমা বদল না করলে দেশের উন্নয়ন দেখা যাবে না: মোদি

চশমা বদল না করলে দেশের উন্নয়ন দেখা যাবে না: মোদি

নয়াদিল্লি: লোকসভায় বাজেট অধিবেশনের আগে রাষ্ট্রপতি ভাষণের উপর আলোচনা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় উন্নয়ন তুলে ধরার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিরোধীদের খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর৷ সংসদে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ ভাষণের প্রতি ছত্রে ছত্রে ছিল বিরোধীদের আক্রমণ৷ বিরোধীরা চশমা  না বদল করলে কেন্দ্রের উন্নয়ন দেখতে পারবে না বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে দেশের অর্থনীতি বিকাশের জন্য অন্যদের পরামর্শ নেওয়ার ঘোষণা করেছেন নমো৷ জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি অবস্থা ভাল৷ মোদির আক্ষেপ, দেশের হাল নিয়ে শুধু গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷

সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমানে সরকার যদি আগের মতো চলত তাহলে, ৩৭০ ধারা বিলোপ হত না৷ আমরা এসে তিন তালাক প্রথা দূর করেছি৷ আগের সরকারের আমলে দুর্নীতির রমরমা ছিল৷ এখন এই সরকারের আমলে রাম মন্দির নির্মাণ হতে চলেছে৷ এই সরকার ২৮ বছরের পুরনো বেনামি সম্পত্তি দখল করেছে৷ আগে ৫ বছরে মানুষ দেখতে সরকারের কাজ শুধু দুর্নীতি ছিল৷ কিন্তু, এখন আমরা ১১ কোটি মানুষকে আমরা শৌচালয় তৈরি করে দিয়েছি৷ ১৩ কোটি পরিবারকে গ্যাস পৌঁছে দিয়েছি৷  মানুষের অসুবিধা দূর করা হয়েছে৷ আমরা সবাই নিয়ে কাজ করছি৷’’

নাগরিক আইন ও এনআরসি ইস্যুতে যখন উত্তাল  উত্তর-পূর্ব ভারত, ঠিক তখন উত্তর-পূর্ব নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলেছেন মোদি৷ সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ‘‘উত্তর-পূর্ব ভারতে রাজনীতি করার জন্য নয়৷ উত্তর-পূর্ব ভারত যথেষ্ট উন্নতি করছে৷  উত্তর-পূর্ব নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে৷ আজ সেখানে সরকার পরিবর্তন হয়েছে৷ উন্নতি হচ্ছে৷ রাজনীতির জন্য নয়, মানুষের উন্নয়ন করাই আমাদের কাজ৷ উত্তর-পূর্ব ভারতে নতুন সূর্য উদয় হয়েছে৷ যখন বিরোধীরা চশমা বদলাবেন তখন তাঁরা দেখতে পাবেন উন্নতি৷’’

কৃষকদরদি মোদির মন্তব্য, ‘‘কৃষকদের উন্নয়নে বাজেট বারাদ্দ বাড়ানো হয়েছে৷ কৃষকদের আয় দ্বিগুন করা হয়েছে৷ ২০১৪ সালের বাজেটে বরাদ্দ থেকে ৫ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে৷ আমার মনে হয়, আপনারা রাজনীতি করুন, কিন্তু কৃষকের স্বার্থে রাজনীতি করবেন না৷’’ দেশের আর্থিক অবস্থা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ‘‘দেশের আর্থিক এখন ভাল৷ দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে কারও কোনও পরামর্শ থাকলে বলুন, আমরা তাঁর পরামর্শ গ্রহণ করব৷ পূর্বতন সরকারের আমলে আর্থিক উন্নতি হয়নি৷ এখন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷ রাজস্ব ঘাটতি কমেছে৷ জিএসটি চালু করে আর্থিক উন্নতি হয়েছে৷ দেশের আর্থিক অবস্থা ভাল৷ তবে, আর্থিক অবস্থা নিয়ে শুধু গুজব ছড়ানো হচ্ছে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − fourteen =