নয়াদিল্লি: বিকেন্দ্রীকরণের নয়া পন্থা মোদি সরকারের। ভারতীয় রেলকে সরাসরি বেসরকারি হাতে তুলে না দিলেও সেখানে বেসরকারি সংস্থা গুলোর অবাধ প্রবেশের সুযোগ করে দিতে চলেছে কেন্দ্র। বিশেষত দেশের পর্যটন ক্ষেত্রগুলির জন্য তেজস এক্সপ্রেসের মতো আরও বেশি বেসরকারী ট্রেন চালু করার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ২০২০ সালের বাজেটে একথা জানিয়েছেন স্বয়ং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি দেশজুড়ে ১০০ টি রুটে বেসরকারী সংস্থাগুলির অন্তর্ভুক্তিকরণের বড়সড় পরিকল্পনা প্রস্তাব আকারে পেশ করা হয়েছে।
ভারতীয় রেলপথের বেসরকারী সংস্থাগুলির ট্রেন চালানোর এই পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি। এবিষয়ে ইতিমধ্যেই উৎসাহ প্রকাশ করেছে অ্যালস্টম ট্রান্সপোর্ট, বোম্বার্ডিয়ার, সিমেন্স এজি, হুন্ডাই রটেম সংস্থা এবং ম্যাককুরিয়া সহ প্রায় ২৪টিরও বেশি বিশ্ব সংস্থা। স্ব-উৎপাদিত সংস্থাগুলির মধ্যে আছে টাটা রিয়েল্টি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার, হিতাচি ইন্ডিয়া অ্যান্ড সাউথ এশিয়া, এসেল গ্রুপ, অদানী পোর্টস অ্যান্ড এসইজেড, ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি)র মতো সংস্থাও রয়েছে এই তালিকায়। উল্লেখ্য, আইআরসিটিসি-র লখনৌ-দিল্লি তেজাস এক্সপ্রেস চালু করার মাধ্যমে এই বেসরকারি ট্রেন চালানোর প্রথম পদক্ষেপ নেওয়া হয় গত বছর।
পরিকল্পনা অনুযায়ী-
১) দেশ জুড়ে ১৫০ টি বেসরকারি ট্রেন চালুর জন্য ১০০ টি রুটের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে ভারতীয় রেল। এই ১০০ টি রুটকে ১০-১২টি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
২) যে রুট গুলিতে বেসরকারী ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে আছে, মুম্বই-নয়াদিল্লি, চেন্নাই থেকে নয়াদিল্লি, নয়াদিল্লি থেকে হাওড়া, শালিমার থেকে পুনে, নয়াদিল্লি থেকে পাটনা।
৩) একটি নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যক্তিগত ট্রেনগুলির একই রুটে চলমান অন্যান্য ট্রেনগুলির ১৫ মিনিট আগে ছাড়বে। প্রস্তাবিত নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে একটি বেসরকারী ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত ১৫ মিনিটের মধ্যে ওই একই রুটের নির্ধারিত নিয়মিত কোনো ট্রেন ওই একই গন্তব্যে রওনা হবেনা।
৪) প্রতিটি নতুন ট্রেনের ন্যূনতম ১৬ টি কোচ থাকবে। কোচগুলির সর্বাধিক সংখ্যা সংশ্লিষ্ট রুটে চলা দীর্ঘতম প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তুলনায় বেশি হবে না। প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিকে সর্বোচ্চ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।