মোদির নিরাপত্তায় দৈনিক খরচ ১.৬২ কোটি! সমালোচনায় স্যোশাল মিডিয়ায়

প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সুরক্ষা গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ  ৫৪০.১৬ কোটি থেকে ১০% বাড়িয়ে প্রায় ৫৯২.৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ একদিনের খরচ ১.৬২ কোটি টাকা। প্রতি ঘন্টার হিসেবে যা ৬.৭৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতি মিনিটের হিসেবে ১১,২৬৩ টাকা।

নয়াদিল্লি: বাজেটে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ সুরক্ষা গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ  ৫৪০.১৬ কোটি থেকে ১০% বাড়িয়ে প্রায় ৫৯২.৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। গত বছরের বাজেটেও প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৪২০কোটি থেকে বাড়িয়ে প্রায় ৫৪০ কোটি টাকা করা হয়েছিল । হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একদিনের খরচ ১.৬২ কোটি টাকা। প্রতি ঘন্টার হিসেবে যা ৬.৭৫ লক্ষ টাকা এবং প্রতি মিনিটের হিসেবে ১১,২৬৩ টাকা। এই হিসেব প্রকাশ্যে আসতেই সংবাদ মাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যমে এটাই এখন আলোচনা, সমালোচনা এমনকি রীতিমতো ঠাট্টার বিষয়ও হয়ে উঠেছে। 

বিশেষ সুরক্ষা আইনে সংশোধনী এনে গত বছর থেকেই এই বিশেষ সুরক্ষা বলয় দেশের মধ্যে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীকেই দেওয়া হবে। গত বছর পর্যন্ত এই সুরক্ষার আওতায় ছিলেন সোনিয়া গান্ধী সহ রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এখন তাদের সুরক্ষা জেড প্লাস ক্যাটেগরিতে সিআরপিএফ-এর দায়িত্বে। জঙ্গি হামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর বিশেষ সুরক্ষা আইন-১৯৮৮ অনুযায়ী গতবছর পর্যন্ত দীর্ঘ ২৮বছর গান্ধী পরিবারের এই তিন ব্যক্তির জন্য ভিভিআইপি সুরক্ষার ব্যবস্থা ছিল। 

বাজেটে প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরেই মহিলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টুইটে ক্রোশ করে লেখা হয়। নরেন্দ্র মোদির 'ফকিরি'র দাম হিসেবে প্রতিদিন করদাতাদের ১.৬২ টাকা দিতে হচ্ছে। একটি টুইটের লেখা হয় জেএনইউতে ৮০০০ এরও বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে এবং এই প্রতিষ্ঠানের কোষাগার থেকে অনুদান এবং ভর্তুকি খাতে বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার। স্ব-ঘোষিত ফকিরের এসপিজির সিকিউরিটির এই তহবিলের জন্য বছরে ৫৬৩ কোটি টাকা লাগে। এই হল তাঁর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ‘নিউ ইন্ডিয়া’।

অপর একটি টুইটে লেখা হয় “মোদি জি আপনার এসপিজি সুরক্ষায় খরচ বন্ধ করুন এর বোঝা ভারতের মানুষ ও কোষাগারগুলি শুষে নিচ্ছে, যার কারণ আপনার অপব্যায়ের ধরণ। আপনি একজন 'ফকির' নিতান্তই সাধারণ মানুষ। ঝুলি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ি চলুন, দয়া করে নিরাপত্তা ত্যাগ করুন এবং মুক্ত ঘুরে বেড়ান।” আসলে দেশের আর্থিক দৈন্যতা যেভাবে বাড়ছে সেখানে দেশের বহু পরিবারে ন্যূনতম অন্ন-বস্ত্র সংস্থানটুকু অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য সরকারি সুবিধা বাদে শুধুমাত্র নিরাপত্তা খাতে এই বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয় সাধারণ মানুষের চোখে একটু হলেও বেশি বৈকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five − four =