নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা বিশ্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ। ভারতেও ঢুকে পড়েছে এই আতঙ্ক। কিন্তু কেন? তেলঙ্গনার মন্ত্রীরা জনসমক্ষে মুরগির মাংস খেয়েছেন বলেই করোনা ঢুকেছে এই দেশে। তবে এখনও এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে ওই 'অহঙ্কারী' মন্ত্রীদের ক্ষমা চাইতে হবে। এবার প্রশ্ন হল, কার কাছেই বা তাঁরা ক্ষমা চাইবেন? সেই প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন পরামর্শদাতা স্বয়ং। ক্ষমা চাইতে হবে করোনা ভাইরাসের কাছে, 'নইলে অনর্থ হয়ে যাবে'। শুনতে মজা লাগলেও এমনই দাবি করেছেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে হিন্দু মহাসভা 'গোমূত্র পার্টি'রও আয়োজন করেছে। সেই পার্টিতে থাকবে গোবরের কেকও।
'করোনা ভাইরাস দমনে গোমূত্র ও গোবরের তত্ত্ব' নিয়ে মন্তব্য এর আগেও শোনা গেছে হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্টের মুখে। এমনকী, করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক দূর করতে বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করতে চায় হিন্দু মহাসভা, এমনও বলেছিলেন তিনি। এবার একই সুরে জানালেন ‘যজ্ঞানুষ্ঠানের জন্যই এই দেশে করোনা ভাইরাস শান্ত ছিল।' তবে বর্তমানের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত তিনি। দিল্লিকে করোনার প্রকোপ থেকে মুক্ত করতে বিশেষ পার্টির আয়োজন করতে চলেছে হিন্দু মহাসভা। সভাপতি চক্রপাণি মহারাজ বলেন, 'আমরা গোমূত্র পার্টির আয়োজন করছি। করোনা ভাইরাস কী এবং কীভাবে গরু থেকে প্রাপ্ত জিনিসপত্র খেয়ে এই ভাইরাসের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়, সেই বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে।’ পার্টিতে আসা লোকজনের জন্য থাকবে গোমূত্র খাওয়ানোর ব্যবস্থা। গোবরের কেক বা ঘুঁটে, আগরবাতিও থাকবে ওই পার্টিতে। এভাবেই করোনা ভাইরাসকে সহজেই মেরে ফেলা যাবে বলেই মনে করেন চক্রপাণি মহারাজ। তবে করোনা আতঙ্ক তাঁর মনে নেই।
কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, ভারতে অধিকাংশই নিরামিষাশী হওয়ায় করোনা এই দেশে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না। করোনার এই প্রকোপের জন্য তিনি দায়ী করেছেন তেলঙ্গনার মন্ত্রীদের। তাঁরা প্রকাশ্যে মুরগির মাংস খেয়েছিলেন বলে পশুরা কেঁদেছিল। 'সাহায্যের জন্য কেঁদেছিল পশুরা'। সেই কান্না পৌঁছেছিল করোনা ভাইরাসের কানে। এর ফলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তা বলে কি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির পথ নেই? নিশ্চয়ই আছে। হিন্দু মহাসভার সভাপতি বলেন, 'করোনার কাছে অবিলম্বে মন্ত্রীদের ক্ষমা চেয়ে নেওয়া উচিত। নইলে অনর্থ হয়ে যাবে। কেউ আটকাতে পারবে না।’