কলকাতা: করোনা ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই মুহূর্তে সচেতনতা অবলম্বন ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। সতর্কতার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনও। সতর্কতার অবলম্বনের পরামর্শ শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটেও। তবে শুরু করোনা ভাইরাসই নয়, এই ধরনের সংক্রামক অন্যান্য ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তেই আমাদের সতর্কতা গ্রহণ করা উচিত, মনে করছেন গবেষকরা। বিশেষত পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যাতায়াতের সময় নিতে হবে বিশেষ সাবধানতা।
মেট্রো হোক কিংবা বাস-ট্রেন, যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন-
১। সবসময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতের নাগালে থাকা ভাল। অ্যালকোহল-বেসড হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোওয়া৷
২। সর্দি, কাশিতে ভুগছে এমন ব্যক্তির থেকে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে থাকুন।
৩। বাস, ট্রেনের হাতল ধরার জন্য পরতে পারেন গ্লাভস।
৪। নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে মাস্ক ব্যবহার করুন৷
৫। জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসের সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮, এমনই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য । তার মধ্যে রয়েছে ১৬ জন ইতালির বাসিন্দা। ইতালির ওই ১৬ জন নাগরিকের থেকেই জয়পুরে একজন ভারতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তাঁর কথায়, দিল্লিতে ১টি, আগ্রায় ৬টি, কেরলে ৩টি, তেলঙ্গনায় ১টি ঘটনার কথা জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায়, ‘আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।'
জনসাধারনের উদ্দেশে বলেছেন, 'অযথা ভয় ছড়াবেন না। গোটা বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে নজর রাখা হচ্ছে।’ করোনা ভাইরাস আক্রান্ত দেশগুলিতে ভ্রমণ স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছেন। বিদেশ থেকে আগত পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ভারত যে করোনা মোকাবিলায় পুরোপুরি প্রস্তুত, সেই আশ্বাসও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদীও টুইট করে আশ্বস্ত করেছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। জরুরি কিছু পদক্ষেপ করতে হবে। এছাড়াও নিজেদের সুরক্ষার জন্য প্রত্যেককেই সচেতনতা অবলম্বন করার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।